স্টাফ রিপোর্টার : ভবন নির্মাণে আগের থেকে গণপূর্ত অধিদফতরের সক্ষমতা বেড়েছে। আগে আমরা ছয় তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করতে পারতাম। এখন আমরা ২০ তল ভবন নির্মাণ করতে সক্ষম। তবে ভবন নির্মাণে সক্ষমতা বাড়লেও রক্ষণাবেক্ষণ করি না।
গতকাল বুধবার ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গণপূর্ত অধিদফতরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বিষয়ক দু’দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
সরকারি ভবন রক্ষণাবেক্ষণে সবাইকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। প্রয়োজনে রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় বাড়ানোরও নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভবনগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। এতে সরকারি অপচয় কমার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ উন্নত সেবা পাবন।
রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং’ প্রসঙ্গে মোশাররফ হোসেন বলেন, ভবনগুলোতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। নতুন করে বাড়ির নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে বাধ্যতামূলক করতে হবে ভবনের ছাদ বা নিচে রেইন রিজার্ভের ব্যবস্থা। বৃষ্টির পানির সঠিক ব্যবহারও নিশ্চিত করতে হবে।
সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) প্রসঙ্গে গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, এসটিপি না থাকলে কোনো ভবনের নকশা অনুমোদন দেওয়া হবে না। ভবনগুলোতে যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় নাগরিক জীবনে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমরা আর ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনের দিকে চেয়ে থাকবো না। প্রতিটি ভবনে এসটিপি ব্যবস্থা করবো। ভবনে এসটিপি না থাকায় ঢাকার চারপাশের নদীও দূষিত হচ্ছে।
নগরীর সেগুনবাগিচায় গণপূর্ত অধিদফতরে সব অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থাপত্য অধিদফতরের স্থপতি, সংস্থার প্রতিনিধিসহ প্রায় ২৫০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি অর্থবছরে গণপূর্তের ৩২১টি প্রকল্প চলমান। সংশোধিত এডিপিতে মোট বরাদ্দ ৫ হাজার ৭৮৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ৫৬টি প্রকল্প শেষ হবে।
গণপূর্ত অধিদফতরের উর্ধ্বতন প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে চলতি অর্থবছরের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর সমস্যা ও সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের নির্দেশ দেয়া হয়।