পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দি গার্ডিয়ান : ১ শতাংশ ধনী ২০৩০ সালের মধ্যে বিশে^র সকল সম্পদের দুই-তৃতীয়াংশের মালিক হবে। এক বিশ্লেষণে উদ্বেগজনক এ তথ্য দেয়া হয়েছে
বিশ^ নেতাদের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে যে ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়া না হলে শীর্ষ ধনীদের অব্যাহত সম্পদ পুঞ্জীভূতকরণ আগামী দশকে অবিশ^াস ও ক্রোধের জন্ম দেবে।
হাউস অব কমনস লাইব্রেরির প্রণীত এক উদ্বেগজনক তথ্যে বলা হয়, ২০০৮ সালে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সময় থেকে যে ধারা শুরু হয়েছে তা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশে^র ১ শতাংশ শীর্ষ ধনী বিশে^র ৬৪ শতাংশ সম্পদের অধিকারী হবে। এমনকি অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কথাও যদি হিসেবে ধরা যায় এবং তাদের দীর্ঘ সময়ের সম্পরে পরিমাপ করলেও তারা এখনো বিশে^র মোট সম্পদের অর্ধেকেরও বেশি পরিমাণের অধিকারী।
২০০৮ সাল থেকে ধনীদের সম্পদ বছরে গড়ে ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে বৃদ্ধির পরিমাণ বিশে^র বাকি ৯৯শতাংশ জনসংখ্যার সম্পদ বছরে ৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি। এ ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ১ শতাংশ ধনী আজকের ১৪০ ট্রিলিয়ন ডলারের চেয়ে ৩০৫ ট্রিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের সম্পদের অধিকারী হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক অসমতা, ধনীদের মধ্যে সঞ্চয়ের উচ্চ হার এবং সম্পদ পুঞ্জীভূতকরণের কারণে সম্পদ শীর্ষধনীদের কাছে কেন্দ্রীভূত হবে। ধনীরা বিপুল পরিমাণ অর্থ বাণিজ্য, স্টক ও অন্যান্য আর্থিক সম্পদে বিনিয়োগ করছে যেগুলো তাদের অসমপরিমাণ লাভ এনে দিয়েছে।
অপিনিয়ামের নয়া জরিপে বলা হয়েছে যে ভোটদাতারা অত্যন্ত ধনীদের প্রভাবের কারণে বড় সমস্যার শিকার। ২০৩০ সালে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী একটি গ্রæপকে নির্বাচিত করার কথা জিজ্ঞেস করা হলে অধিকাংশই (৩৪ শতাংশ) সর্বোচ্চ ধনীদের কথা বলেন, পক্ষান্তরে ২৮ শতাংশ বলেন জাতীয় সরকারের কথা। জরিপে অংশগ্রহণকারীরা (৪১ শতাংশ) আস্থাহীনতার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, তাদের আশংকা যে সম্পদের অসমতার পরিণতিতে দুর্নীতির হার বৃদ্ধি পাবে অথবা অতি-ধনীরা সরকারের নীতিতে অন্যায্য প্রভাব ভোগ করবে (৪৩ শতাংশ)।
এ গবেষণাটি প্রকাশ করেন লেবার পার্টির সাবেক মন্ত্রী লিয়াম বার্নি। এ সমাবেশে এমপি, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতৃবর্গ, ট্রেড ইউনিয়ন ও নাগরিক সমাজের নেতাগণ উপস্থিত ছিলেন।
নভেম্বরে বুয়েনোস আয়ারসে জি ২০ নেতারা যখন শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হবেন তখন এ ব্যাপারে বৈশি^ক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করার আশা করা হচ্ছে।
কিছু সংখ্যক লোকের হাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত হওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগের কারণে এ বিষয়টি রাজনৈতিক মতভেদ নির্বিশেষে সকলের সমর্থন লাভ করেছে।
টোরি এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর নীতি বোর্ডের সাবেক প্রধান জর্জ ফ্রিম্যান বলেন, যেখানে মানব সমাজ কখনো এ ধরনের আয় অসমতা দেখেনি , এ কথাও সত্য যে মানব সমাজ কখনো জীবন মানের এত দ্রæত বৃদ্ধিও দেখেনি। বিশ^Ÿ্যাপী শত শত কোটি লোক এত দ্রæত দারিদ্রমুক্ত হয়েছে যা আগে কখনো দেখা যায়নি। কিন্তু প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও বৈশি^কীকরণের ফলে আজ বিশ^ সম্পদের অস্বাভাবিক পুঞ্জীভূতকরণ গুরুতর চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, যদি পাশ্চাত্যে জেঁকে বসা পুঁজিবাদী উদার গণতন্ত্র বৈশ্বিকীকরণের বৃহৎ পরীক্ষা পাশ করে এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয়োত্তর কৃচ্ছ্রতার কারণে আসা অভ্যন্তরীণ চাপের পাশাপাশি উগ্রপন্থীদের হামলা ঘটে, তাহলে সুযোগ সম্প্রসারিত করা, মালিকানার অংশীদার হওয়া ও জনহিতৈষণার পন্থা সম্পর্কে আমাদের নতুন করে চিন্তা করা প্রয়োজন। দ্রæত।
জি-২০ গ্রæপের কাছ থেকে যে সব পদক্ষেপ দাবি করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে মজুরি বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য উৎপাদনশীলতার উন্নয়ন এবং বৃহত্তর সমতা বৃদ্ধির জন্য পুঁজি বাজারের সংস্কার।
অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয়ের ভূগোলের অধ্যাপক ড্যানি ডরলিং বলেন, যে দৃশ্যপটে অতি-ধনীরা ২০৩০ সাল নাগাদ আরো সম্পদ পুঞ্জীভূত করতে চলেছে তা বাস্তব ঘটনা। এমনকি বিশে^র সর্বাপেক্ষা সম্পদশালীদের আয় যদি ভবিষ্যতে নাটকীয় ভাবে বন্ধও হয়ে যায় তারপরও কিছুকাল ধরে তাদের সম্পদ বেড়ে চলবে। তিনি বলেন, বিশ^ সর্বশেষ সম্পদ অসমতার শীর্ষচূড়ায় পৌঁছেছিল ১৯১৩ সালে। আমরা আবার তার কাছে এসেছি। কিন্তু এখন যদি আমরা অসমতা হ্রাস করিও , তা আরো এক বা দু’দশক ধরে বৃদ্ধি পাওয়া অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।