পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি জেলা পর্যায়েও দিবসটি উদযাপন করা হবে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে প্রাথমিক এবং গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আজ সকাল ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো-বিএনএফই’র আয়োজনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। সভায় সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।
এদিকে গতকাল দিবসটি উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২০ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশের বর্তমান সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ। যদিও গত জুলাইয়ে প্রকাশিত জনশুমারির তথ্য অনুযায়ী দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
মো. জাকির হোসেন জানান, বর্তমানে সরকারের নানামুখী কর্মসূচির কারণে পূর্বের তুলনায় সাক্ষরতার হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনও প্রায় ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ জনগোষ্ঠি নিরক্ষর। এসকল নিরক্ষর জনগোষ্ঠিকে সাক্ষর করতে না পারলে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভবপর নয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
১৯৬৫ সালের ১৭ নবেম্বর ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে এ দিবসটি নির্ধারণ করা হয়। ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছর এ দিবসটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা এবং বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে প্রথম সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সরকার ইউনেস্কো কর্তৃক আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা পুরস্কার লাভ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।