মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মানুষ এই গ্রহ ছাড়িয়ে মহাশূণ্যে আবাস গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছে। বিজ্ঞানীদের এই স্বপ্ন-কল্পনা বাস্তবে রূপ পেলে একদিন মানুষ ছড়িয়ে পড়বে গ্রহ-গ্রহান্তরে। এই লক্ষ্যের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ২০৩০ সাল নাগাদ চাঁদে মানব বসতি স্থাপন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ)। থ্রিডি প্রিন্টারে ‘মুন ভিলেজ’ বানানোর পরিকল্পনা করছেন ইএসএ’র শীর্ষ কর্মকর্তারা। মানব বসতির পাশাপাশি ভিনগ্রহে প্রাণের সন্ধানের চেষ্টায় চাঁদে এই শহর গড়ে তোলা হবে।
বিজ্ঞানীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, চাঁদে মানব জীবনধারণের উপযোগী বাসস্থানের অবকাঠামো তৈরি করতে ব্যবহার করা হবে রোবট। আর ওই ‘চাঁদের শহর’ থেকে মহাকাশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছেন বিজ্ঞানীরা। চাঁদের এই বসতি মহাকাশ গবেষণায় নতুন যুগের সূচনা করবে বলে তারা আশা করছেন।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ‘নাসা’ মঙ্গলে পানি পাওয়ার পর মহাকাশে নতুন প্রাণের সন্ধানে বিজ্ঞানীদের গবেষণা নতুন গতি পেয়েছে। এতে মহাশূণ্যে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে তারা আরো আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। এমন সময়েই নেদারল্যান্ডে সম্প্রতি ‘মুন ২০২০-২০৩০’ নামের এক সম্মেলনে চাঁদে বসতি স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানাল ইএসএ। এই ঘটনাকে ‘এ নিউ এরা অফ কোঅর্ডিনেটেড হিউম্যান অ্যান্ড রোবোটিক এক্সপ্লোরেশন’ হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড সান।
সম্মেলনে মহাশূন্য গবেষণায় মানবজাতিকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করতে একসঙ্গে হয়েছিলেন ২শ’ মহাকাশ বিজ্ঞানী।
নাসা’র ক্যাথি লরিনি চাঁদে বসতি স্থাপন নিয়ে বেশ আশাবাদী। তিনি বলেন, “ইএসএ’র মহাকাশ গবেষণায় মঙ্গলের পথে চাঁদকে মানুষের প্রথম গন্তব্য হিসেবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।” তিনি বলেন, ভবিষ্যতের জন্য নিঃসন্দেহে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এর আগে ২০১৩ সালে থ্রিডি প্রিন্টারের কাঁচামাল হিসেবে চাঁদের মাটি ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাই করে ইএসএ। থ্রিডি প্রযুক্তিতে চাঁদে বিদ্যমান কাঁচামাল দিয়েই নভোচারীদের টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কাঠামো তৈরি সম্ভব বলে নিশ্চিত হন বিজ্ঞানীরা।
তাদের এই পরিকল্পনায় বলা হয়েছে চাঁদে প্রথমে রোবট পাঠানো হবে। এসব রোবট চাঁদের পৃষ্ঠকে মানবজীবনের জন্য প্রস্তুত করবে। এরপর সেখানে মানুষের বসবাসের কাঠামো গড়ে তোলা হবে। নভোচারীরা যাতে চাঁদকে একটি মহাশূণ্য স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করে মঙ্গলের মতো নাসা’র শীর্ষ অগ্রাধিকারের লক্ষ্যসমূহে অভিযান চালাতে পারেন সেটাই এই পরিকল্পনার লক্ষ্য।
চাঁদে শহর গড়ে তোলা নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা অবশ্যই ইউরোপে সাড়া জাগিয়েছে। এই উদ্যোগ ভিনগ্রহে প্রাণের সন্ধান ও মহাশূণ্যে মানুষের পদচারণা সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের আশাবাদ ও উচ্চাভিলাস আরো বাড়িয়ে তুলেছে। Ñসূত্র : দ্য সান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।