Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবৃদ্ধি সামাল দেয়াই বড় চ্যালেঞ্জ-চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজ

| প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম


চট্টগ্রাম ব্যুরো: কার্গো, কন্টেইনার ও জাহাজের প্রবৃদ্ধি সামাল দেয়াই চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজ বলেছেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো বন্দরকে ‘ব্যবহারকারী বান্ধব’ হিসাবে গড়ে তোলা। গতকাল (মঙ্গলবার) শহীদ মোঃ ফজলুর রহমান মুন্সি অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কমডোর জুলফিকার আজিজ বলেন, প্রতি বছরই বন্দরে কন্টেইনার ও পণ্যবাহি জাহাজের সংখ্যা বাড়ছে। বন্দরে এ প্রবৃদ্ধি সামাল দিতে কৌশলগত মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়বে।
চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩১তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় বন্দরের সদস্য (অর্থ) মোঃ কামরুল আমিন, সদস্য (হারবার) কমডোর শাহিন রহমান, বন্দরের সচিব মোঃ ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন। বন্দর দিবস উপলক্ষে আজ (বুধবার) বন্দর রিপাবলিক হলে মেজবান এবং বন্দর কলেজ মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। তার আগে সকালে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। গতকাল বন্দর থেকে গত এক বছরে অবসর গ্রহণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম বন্দরের চলমান প্রকল্পের অগ্রগতি জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। এটি ২০১৯ সালের মধ্যে শেষ হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে লালদিয়া মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ এ টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে। দেশবাসীর বহু প্রতিক্ষিত বে-টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তুতিও এগিয়ে চলছে বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান। বন্দরের জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মাধ্যমে সদরঘাট থেকে বাকলিয়ার চর পর্যন্ত ড্রেজিং কার্যক্রম আগামী মাসে শুরু হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বে-টার্মিনাল এলাকায় একটি ইয়ার্ড নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ওই ইয়ার্ড চালু হলে সেখানে কন্টেইনারবাহি পণ্য খালাস করা হবে। এরফলে বন্দরে জাহাজ ও কন্টেইনার জট কমবে এবং বন্দরকে ঘিরে ভারী যানবাহনের চাপও থাকবে না। এতে বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়বে। নানা সমস্যার মধ্যেও কার্যকর কিছু উদ্যোগ গ্রহণের ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ও কন্টেইনার জট পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এতে করে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের গড় অবস্থানকাল ২ দশমিক ৫৮-এ নেমে এসেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী ৪৩ সাল নাগাদ দেশে কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ১৪ মিলিয়ন টিইউএসে দাঁড়াবে। আর চলমান চট্টগ্রাম বন্দরের সব কয়টি প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে যে সক্ষমতা দাঁড়াবে তাতে ৭ মিলিয়ন টিইউএস হ্যান্ডলিং করতে পারবে। বাকি ৭ মিলিয়ন টিইউএস হ্যান্ডলিংয়ের জন্য দরকার নতুন বন্দরের। এজন্য পায়রা বন্দর করা হয়েছে এবং সেইসাথে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রমজানকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ও কন্টেইনার জটের আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ইতোমধ্যে রমজানের অনেক পণ্য দেশে এসে গেছে। আগামী দিনে যেসব পণ্যবাহি জাহাজ আসবে সেগুলো থেকে দ্রæত পণ্য খালাসের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রড, সিমেন্টের মূল্যবৃদ্ধির সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে তিনি বলেন, রড সিমেন্ট কারখানার কাঁচামালবাহি কোন জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে অপেক্ষা করতে হয়না। এক প্রশ্নের জবাবে কামরুল আমিন জানান, ফারমার্স ব্যাংকে চট্টগ্রাম বন্দরের আটকে পড়া ১৮০ কোটি টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম

৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ