রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা : পঞ্চগড়ে প্রতিবছর কমছে গমের আবাদ। কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারী এবং সরকারি গুদামে গম সরবরাহে সিন্ডিকেটের দৌরতেœ্যতের ফলে এই অবস্থা তৈরী হয়েছে বলে ধারণা সচেতন মানুষের।
এছাড়া অধিক ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় ভুট্টা আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। তাছাড়া ভুট্টা বিক্রি করতে গুদামে ধরণা দিতে হয় না।
গত বছরের তুলনায় চলতি জেলায় সাত হাজার হেক্টর কম জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। গমের জমিতে ভুট্টা ছাড়াও বোরো এবং উন্নত জাতের টমেটো আবাদ করে বেশি লাভ গুনছেন কৃষকরা। আগামী মৌসুমে গম আবাদি জমির পরিমাণ আরও কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলে মাটি ও আবহাওয়া গম আবাদের জন্য বেশ উপযোগী। কিন্তু বর্তমান সময়ে ধান ও ভুট্টার আবাদে ভালো ফলনের সঙ্গে উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। পাশাপাশি গম আবাদে উৎপাদন খরচ এবং পরিশ্রম বেশি লাগে। এছাড়া ভালো মানের গম বীজের সমস্যাও রয়েছে। এসব কারণেই প্রতি বছর গমের আবাদ কমে যাচ্ছে। গত বছর জেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে গমের আবাদ করা হয়। এবার আবাদ হয়েছে ২০ হাজার হেক্টর জমিতে।
এর আগে গম মৌসুমে ৩০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে গমের আবাদ করা হয়। প্রতি বছর কমে যাচ্ছে গমের আবাদ। গম আবাদের উপযোগী জমিতে ভুট্টা চাষ করছেন কৃষকরা।
চলতি মৌসুমে অন্য যেকোনো ফসলের তুলনায় ভুট্টার ফলন বেশি হয়েছে। তবে অনেক কৃষক বোরো এবং উন্নত জাতের টমেটো চাষ করেও লাভবান হচ্ছেন।
জেলার তেঁতুলিয়া, আটোয়ারী ও সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় যেসব জমিতে এক সময়ে গমের আবাদ হতো বর্তমানে ওসব জমিতে এখন ভুট্টা, বোরো আর উন্নতজাতের টমেটোর আবাদে ভরে গেছে।
সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের মডেলহাট এলাকার কৃষক মাজেদ রহমান বলেন, যে জমিতে এক সময় নিয়মিত গম আবাদ করতাম, এখন সেখানে ভুট্টার আবাদ করছি। ভুট্টার আবাদে ফলন ভালো পাওয়া যায়। দিন দিন ভুট্টার চাহিদাও বাড়ছে। সেইসঙ্গে উপযুক্ত দামও পাচ্ছি।
জেলা শহরের পূর্ব জালাসীপাড়ার কৃষক শাহাজানা আলী বলেন, গমের ফলন কম হওয়ায় দামে পোষায় না। উৎপাদন খরচ হিসাব করলে গায়ে গায়ে থাকে। আর বিঘা প্রতি প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ মণ (১৬০০ কেজি) পর্যন্ত ভুট্টা উৎপাদন করা যায়। এ জন্য আমরা এখন গমের বদলে ভুট্টার আবাদ করছি।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সামছুল হক বলেন, পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলে মাটি ও আবহাওয়া গম আবাদের জন্য বেশ উপযোগী। এখানে দীর্ঘদিন ধরেই গমের আবাদ করা হয়। গত বারের তুলনায় এবার প্রায় সাত হাজার হেক্টর কম জমিতে গমের আবাদ হয়েছে।
এর কারণ হচ্ছে, গম থেকে কৃষকরা ভুট্টা আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। এ জন্য আমাদের এলাকায় ভুট্টা এবং বোরো আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ভুট্টার ফলন গমের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। উপযুক্ত দামও পাচ্ছেন কৃষকরা। এ ছাড়া ধানের দাম বৃদ্ধির কারণেও কৃষকরা এই মৌসুমে গমের পরিবর্তে বোরোর আবাদ করেছেন। উন্নত জাতের টমেটো আবাদ করেও কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। এসব কারণেই মূলত জেলায় গমের আবাদ কমে যাচ্ছে। গমের ফলন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের সঠিক নজরদারি প্রয়োজন না হলে আমদানির উপর চাপ বাড়তে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।