নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে চেনা ছন্দে ছিল না বার্সেলোনা। এর মাঝেই রোমার কাছে নাটকীয় পরাজয়ের মাধ্যমে বিদায় নিতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আট থেকে। এর পুরো হিসাব যেন পরশু কোপা দেল রে’র ফাইনাল থেকে কড়াই গন্ডায় বুঝে নিতে চাইল কাতালান দলটি। সেই রোশানলে পড়েই ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয়েছে সেভিয়াকে। টানা চতুর্থবারের মত আসরের শিরোপা জিতে নিয়েছে বার্সা।
যদিও কোপার শিরোপা দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ব্যর্থতা ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব না। তারপরও সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে এই শিরোপার দরকার ছিল বলে মনে করেন দলটির উরুগুয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ, ‘পরিস্থিতি খুব কঠিন ছিল। চারপাশে সমালোচনা হচ্ছিল। এটা (কোপা দেল রে শিরোপা) রোমে যা ঘটেছে তা চাপা দিতে পারবে না, কিন্তু এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা।’
শিরোপাটা কেমন গুরুত্বপূর্ণ সেটাও জানিয়েছেন সুয়ারেজ, ‘মৌসুমের শুরুতে যদি ডাবল জিতব বলা হতো তাহলে আমরা তা লুফে নিতাম। লা লিগায় অনেকগুলো ম্যাচ। আর কোপাও সবাই জিততে চায়।’
এ নিয়ে টানা চতুর্থ ও সব মিলে রেকর্ড ৩০টি কোপা দেল রে শিরেপা ঘরে তুললো বার্সেলোনা। বার্সার হয়ে ভিন্ন ভিন্ন পাঁচটি ফাইনালে গোল করা সুয়ারেজ নিজের অনুভুতি প্রকাশে বলেন, ‘অনুভুতিটা অদ্ভুদ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বাদ পড়ার পরও মনে হচ্ছিল টুর্নামেন্টে আমরা আরো সামনে যেতে পারতাম।’ ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথমার্ধটা দারুণ শুরু করেছিলাম। আমরা একতাবদ্ধ হয়ে খেলেছি। এটা ছিল লক্ষ্যে অবিচল একটা দলের কাজের ফল।’
ওয়ান্ডা মেট্রোপালিটানোতে প্রথমার্ধে আসলেই দুর্দান্ত ছিল বার্সা। এসময় মেসির একটি ও সুয়ারেজের দুই গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। প্রথমার্ধে গোল পোস্টে মাত্র একবার শট নেয়ার সুযোগ পাওয়া সেভিয়া দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। বেশ কয়েকটি আক্রমণও শানিয়েছিল তারা। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। উল্টো আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও ফিলিপ কুতিনহোর আরো দুই গোলে সেভিয়ার বড় পরাজয় নিশ্চিত হয়।
গত পাঁচ বছরে প্রতিটি ফাইনালেই খেলেছে কাতালান জায়ান্টরা। ম্যাচ শেষে একে অপরকে জড়িয়ে ধরা কিংবা হাই ফাইভ দিয়ে শিরোপা উদযাপন হলেও সকলের মনেই আগামী রোববার ডিপোর্তিভো লা করুনার বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে যত চিন্তা। ঐ ম্যাচে জিততেই লা লিগার শিরোপাও নিশ্চিত হবে ভালভার্দের দলের। ঘরে আসবে মৌসুমে ডাবল শিরোপা। অবশ্য গত রাতে অ্যাটলেটিকো হেরে বসলে রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না বার্সাকে।
এবারের লিগ শিরোপাটি বার্সার জন্য হতে পারে একটু অন্যরকম। লা লিগায় অপরাজিত থাকার রেকর্ড হয়েছে আগেই। এখন প্রথম দল হিসেবে মৌসুমে কোন ম্যাচ না হেরে শিরোপা নিশ্চিতের হাতছানি মেসিদের সামনে। আর এটা করতে পারলেই কেবল রোমার কাছে পরাজিত হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়ের হতাশা কিছুটা হলেও কাটবে।
এদিন ম্যাচে যথারীতি আর্জেন্টাইন তারকা ছিলেন স্বমিহায় উজ্জ্বল। যদিও ম্যাচটি শুধুমাত্র মেসিময় ছিল না। সুয়ারেজ করেছেন মৌসুমের ৩১ ও ৩২তম গোল। ইনিয়েস্তাও দারুন উজ্জীবিত খেলা উপহার দিয়েছেন। এটিই হয়ত ৩৩ বছর বয়সী বার্সা অধিনায়কের সর্বশেষ কাতালান জার্সি গায়ে কোন ফাইনাল ম্যাচ। যে কারনে ইনিয়েস্তার ফেয়ারওয়েলটাও স্মরণীয় হয়ে থাকলো। এজন্যেই হয়ত ৫২তম মিনিটে গোল করার পর সতীর্থদের কাছ থেকে অভিনন্দনটাও একটু বেশি পেয়েছেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। ৬৯ মিনিটে স্পট কিক থেকে কুতিনহো দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন।
সেভিয়ার জন্য পরাজয়টা এবারের মৌসুমে অনেকটা নিয়মিতই হয়ে গিয়েছিল। লা লিগায় তারা অষ্টম স্থানে। ইউরোপা লিগে খেলাও এখন তাদের সামনে অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং বিষয়। কোচ ভিনসেনজো মনটেলাসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ই হয়ত গ্রীষ্মে দলত্যাগে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন।
গোল করার মাধ্যমে এদিন একটা রেকর্ডও ছুয়েছেন মেসি। দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচটি কোপা ডেল রে ফাইনালে গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন ফুটবল জাদুকর। দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোল করার পাশাপাশি সুয়ারেজ ও ইনিয়েস্তার দুই গোলে ছিল মেসির সহযোগিতা। এর আগে ১৯৪০ ও ৫০’র দশকে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের তারকা টেলমো জারা পাঁচ ফাইনালে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। যদিও এই পাঁচটি ফাইনালে গোল সংখ্যায় মেসির (৬) চেয়ে এগিয়ে জারা (৮)।
বার্সেলোনা ৫
সুয়ারেজ ১৪, ৪০
মেসি ৩১
ইনিয়েস্তা ৫২
কুতিনহো ৬৯ পে.
সেভিয়া ০
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।