পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিদ্রোহীরা দেশটির রাজধানী দামেস্ক ত্যাগ করে তুরস্ক সীমান্তের নিকটবর্তী অঞ্চলের দিকে যাত্রা করেছে। রাশিয়া সমর্থিত সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে একটি নতুন চুক্তি হওয়ার পর বিদ্রোহীরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের অনেক চুক্তির মধ্যে সা¤প্রতিকতমটি হচ্ছে দামেস্কের ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত পূর্ব কালামুন অঞ্চলের এ চুক্তি। চুক্তি অনুসারে বিদ্রোহীরা দামেস্ক ত্যাগ করা শুরু করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সানা জানায়, জঙ্গি ও তাদের পরিবারকে বহনকারী বাসগুলো পূর্ব কালামুন অঞ্চলের আল রুহায়বা ত্যাগ করা শুরু করেছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনটি জানায়, ৩ হাজার ২০০ বিদ্রোহী এবং তাদের পরিবারের আল রুহায়বা ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া বিদ্রোহীদের নিকটবর্তী শহর আল নাসিরিয়া ও জায়রুদ ছেড়ে যাওয়ারও কথা ছিল। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে, বাসগুলো আল রুহায়বা ছেড়ে যাচ্ছে এবং বেশির ভাগ বাসেই পর্দা টানানো ছিল। গত শুক্রবার রাতে সানা জানিয়েছিল, বিদ্রোহীরা শনিবার থেকে আল রুহায়বা, জায়রুদ ও আল নাসিরিয়া ছেড়ে যাওয়ার চুক্তিতে পৌঁছেছে। এসব বিদ্রোহী ও তাদের পরিবার আলেপ্পো প্রদেশের উত্তরাঞ্চলের বিদ্রোহী অধ্যুষিত শহর জারাবুলাস এবং প্রতিবেশী প্রদেশ ইদলিবে যাবে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে বিদ্রোহীদের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটি এ ইদলিবেই অবস্থিত। গত সপ্তাহে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকার ঘোষণা দিয়েছিল যে, তারা দামেস্কের পূর্ণ পুনরুদ্ধার সম্পন্ন করতে পেরেছে। এরপর সরকারি বাহিনী এ অবস্থানকে সুরক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে প্রায় দুই মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পূর্ব ঘৌতাকে বিদ্রোহীমুক্ত করা হয়। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সম্পন্ন বেশ কয়েকটি চুক্তির মাধ্যমে সেখান থেকে হাজার হাজার বিদ্রোহী ও তাদের পরিবারগুলোকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।