রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে আদালত কে নিজেদের দখল বুঝাতে পাকার আগেই কাঁচা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে কৃষকের অন্তত অর্ধশত মণ ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিষয়টি জানানোর পরও মামলা নেয়নি থানায়।
জানা যায়, উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের এনায়েতপুর (খানপুর) গ্রামের আব্দুল আজিজ ও মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলেদের সাথে একই গ্রামের মৃত উশেন আলী ও মৃত লাল মাহমুদের ছেলেদের সাথে ৮৬ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুর রশিদ, আব্দুর রাশিদ, হবি এবং মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে চাঁন মিয়া ও আব্দুল কাদির গণ বোরো ধান রোপন করে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলায় জমির দখল নিজেদের বুঝাতে মৃত উশেন আলীর ছেলে ইসলাম উদ্দিন, রাশিদ এবং মৃত লাল মিয়ার ছেলে হাসেম ও সালামরা গত ১৯ এপ্রিল দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে কাঁচা ধান কেট নিয়ে গেছে। এতে কম পক্ষে অর্ধশত মণ ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কাঁচাধান কেটে নেয়ায় ধানগুলো সিদ্ধ করে চাল কিংবা শুকিয়ে বাজার জাত করণের কোন অবস্থা থাকেনি। ধান কাটার বিষয়টি স্থানীয় রায়ের বাজার তদতন্ত কেন্দ্রকে অবহিত করলে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে পুলিশ। তবে অজ্ঞাত কারণে কোন মামলা হয়নি।
এ বিষয়টি নিয়ে সেচপাম্পের মালিক রফিক বলেন, বরাবরের মতো জমির মালিক আব্দুল আজিজ ও ওয়াহেদ আলীর ছেলেরা বোরো রোপন করেছে ও সেচপাম্পের বিল পরিশোধ করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে উশেন আলী ও লাল মিয়ার ছেলেরা বহিরাগত কিছু লোক এনে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে কাঁচা ধান কেটে নিয়ে যায়।
চাঁন মিয়া বলেন, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি আমরা আবাদ করে আসছি। উশেন আলী ও লাল মিয়ার ছেলেরা অবৈধ ভাবে বারবার জোরপূর্বক জমিটি দখলে নিতে ব্যর্থ হয়ে এবার কাঁচা ধান কেটে নষ্ট করেছে। অভিযুক্ত ইসলাম উদ্দিন বলেন, জমিটি তারা পৈত্রিক সূত্রে পেয়েছেন। আপাতত তাদের কাছে কোন কাগজ না থাকলেও পরে তারা কাগজ দেখাতে পারবেন। কাঁচা ধান কেন কাটলেন এমন প্রশ্নের উত্তেরে তিনি বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন কেটে নিতে পারে তাই আগে ভাগে তারা একটু কাঁচা ধানই কেটে ফেলেছেন।
রায়ের বাজার তদন্ত কেন্দ্রর এস আই খন্দকার আল মামুন বলেন, ধান কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে এসছি। কাঁচাধান কেটে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।