Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোপালগঞ্জে ভাতিজাকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে ভোগদখল করছে চাচা

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২২, ৫:২৪ পিএম

গোপালগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বিল্লাল দাড়িয়া (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে বসতবাড়ি থেকে উৎখাত করে ভোগদখলের অভিযোগ উঠেছে তার আপন চাচার বিরুদ্ধে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, মাথাগোঁজার ঠাঁই হারিয়ে ৪ মাস ধরে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বিল্লাল দাড়িয়া অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
বসতবাড়ি ফিরে পেতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, নির্বাচিত প্রতিনিধি ও পুলিশের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন উপায়ান্তর করতে পারেননি তিনি।
ভুক্তভোগী বিল্লাল দাড়িয়া অভিযোগ করে বলেন, এ বিষযে তিনি গোপালগঞ্জ সদর থানায় যোগাযোগ করলে গত ১ অক্টোবর ওই থানার এস, আই রাসেল আহমেদ বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যান এবং দখলকারি আব্দুল হাই দাড়িয়ার সাথে কথা বলেন।
এসআই রাসেল আহমেদ ভুক্তভোগী বিল্লাল দাড়িয়াকে তার পৈতৃক বাড়িতে বসবাসে কোন বাধা না দেওয়া এবং ক্ষমতা প্রয়োগ না করার জন্য আব্দুল হাই দাড়িয়াকে বলেন। কিন্তু ওই রাতেই আব্দুল হাই দাড়িয়া ও তার লোকজন পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিল্লালের ঘরটি ভেঙ্গে ফেলে এবং মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি ভ’ক্তভোগী বিল্লাল এসআই রাসেলকে জানালে তিনি তাকে কোন সহযোগিতা করেননি বলে জানান। বিল্লাল বলেন, আমি একজন গরীব ও অসহায় মানুষ। আমাকে ঘরে ওঠিয়ে দেয়ার কথা বলে দারোগা সাহেবকে আমার কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা নেন। কিন্তু তিনি আমাকে কোন কাজ করে দিলেন না।
সম্প্রতি, গোপালগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবে এসে বিল্লাল দাড়িয়া তার এসব অভিযোগের কথা সাংবাদিকদের জানান এবং তিনি যাতে তার পৈতৃক বাড়িতে পরিবার পরিজনসহ বসবাস করতে পারেন সে ব্যপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বিল্লাল দাড়িয়া আরও অভিযোগ করে বলেন, ২০১৮ সালে আমার পিতা আলী আকবার হোসেন মারা যান। মৃত্যুর আগে আমার বাবা অন্ধ হযে যান। আমার বাবার মৃত্যুর ৩ বছর পর আমার চাচা আব্দুল হাই দাড়িয়া আমাকে বলেন মৃত্যুর আগে তোমার বাবা তার বসতবাড়ি তাকে রেজিস্ট্রি করে দিয়ে গেছেন।এখন থেকে এ সম্পত্তিতে তোমাদের কোন সত্ত্ব নেই।তাই তোমরা এবাড়িতে আর বসবাস করতে পারবে না। আমি আমার পিতার সরলতা ও অসহায়ত্মের সুযোগ নিতে জালিয়াতির মাধ্যমে আব্দু হাই দাড়িয়া বসতবাড়ি রেজিস্ট্রি করে নিযেছে বলে আমি মনে করি ।
দখলদার আব্দুল হাই বলেন, বিল্লালের পৈত্রিক বাড়ি ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ সঠিক না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমার বড় ভাই তার মৃত্যুর আগে ওই সম্পত্তি আমাকে রেজিস্ট্রি করে দেন।ওই সম্পত্তিতে আর কারো সত্ত্ব নেই। আমাকে হয়রানি করার উদ্দেশে বিভিন্ন লোকের প্ররোচনায় তারা আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনেছে। এসবের কোন সত্যতা নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ