Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বড় সাপোর্টে পুঁজিবাজার দর পতনেও চাঙ্গা সূচক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে পুঁজিবাজারের ৫৬ শতাংশ কোম্পানরি দর পতন হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক বেড়েছে। অধিকাংশ কোম্পানির দর পতনেও বাজারের সূচকের ইতিবাচক উত্থানকে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, বাজারের প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা, মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরের উত্থান বিক্রয় চাপেও সামগ্রিক বাজারের সূচককে ঊর্ধ্বমুখী করেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে দুই হাজার ৫৭৪ কোটি ৫৯ লাখ ৪১ হাজার ৫০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল তিন হাজার ১০৭ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার ৯১৯ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫৩২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বা ১৭.১৪ শতাংশ।
এ সময় ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৫১৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে গড় দৈনিক লেনদেন হয়েছিল ৬২১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১০৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
এ সময় ডিএসইতে ৬৯ কোটি ৪০ লাখ ৭ হাজার ৮০৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কিন্তু, আগের সপ্তাহে ডিএসইতে ৯৪ কোটি ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৫৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ শেয়ার লেনদেন কমেছে ২৬.৪১ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪২টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৯টির, দর কমেছে ১৮৪টির, দর অপরিবর্তিত ছিল ২৮টি প্রতিষ্ঠানের। এর আগের সপ্তাহে ৩৪২টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছিল ১৩০টির, দর কমেছিল ১৮৭টির, দর অপরিবর্তিত ছিল ২৪টি প্রতিষ্ঠানের। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারের লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও ফান্ডগুলোর ৫৬.৭৯ শতাংশের দর কমেছে।
সপ্তাহের শুরু থেকে বাজারে অব্যাহত বিক্রয় চাপ থাকলেও বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরের উত্থানে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র প্রত্যেকটি সূচক বেড়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৩০ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বেড়েছে। এ সময় ডিএস-৩০ ও ডিএসইএস সূচক যথাক্রমে ১৭ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট ও ১২ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বেড়েছে।
সপ্তাহ শেষে ডিএসই’র বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ১৬৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল চার লাখ চার হাজার ৬১৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে চার লাখ সাত হাজার ৭৩২ কোটি ৬ লাখ টাকায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বেক্সিমকো। সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে কোম্পানিটির ২৩৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ডিএসই’র গত সপ্তাহের সর্বমোট লেনদেনের ৯ দশমিক ১২ শতাংশ। এ সময় বেক্সিমকোর শেয়ার দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
টার্নওভার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ব্যাংকটির ৯২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৮৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মধ্যে দিয়ে টার্নওভার তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে ছিল ব্র্যাক ব্যাংক।
টার্নওভার তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, উসমানিয়া গøাস, মুন্নু সিরামিক ও স্কয়ার ফার্মা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুঁজিবাজার

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ