পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে ভাটা। অনিয়ম, দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় দেশের আর্থিক খাতের বিভিন্ন সূচকের নাজুক অবস্থা। আর তখন দেশের আর্থিক খাতের একমাত্র আশার আলো পুঁজিবাজার। ধারাবাহিকভাবে উত্থান ও রেকর্ড গড়ে যাচ্ছে এই পুঁজিবাজার। এবার অনন্য উচ্চতায় উঠেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক। আগের দিনের চেয়ে ডিএসইএক্স ৭১ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৫৩ পয়েন্টে উঠেছে। যা সূচকটির ইতিহাসে নতুন মাইলফলক। শুধু তাই নয়, ডিএসই’র ইতিহাসে সাড়ে ১১ বছরের মধ্যে এই প্রথম সূচকটি ৭ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করল।
জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আবু আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, অবশ্যই এটি বড় অর্জন। সবাই উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে শেয়ার কিনছে। নতুন অনেক বিনিয়োগকারী আসছে। অনেকে আবার না বুঝে বিনিয়োগ করছে। যদিও নতুন বিনিয়োগকারীরা না জেনে, হিসাব না করেই শুনে শুনে দাম কম (যে কোম্পানি চলে না বা ব্যবসা নেই) এগুলোর শেয়ার কিনছে। তবে এই ক্রেজ আমার মনে হয় না দীর্ঘদিন থাকবে। কারণ কোম্পানির পারফরম্যান্সের সঙ্গে বর্তমান প্রাইসের কোনো সম্পর্ক নেই।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই’র প্রধান সূচক এর আগে ২০১০ সালের মহাধসের পর ২০১১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ছিল ৭ হাজার ১২৫ পয়েন্টে। এরপর পুরাতন সূচকটি পুনর্গঠন করে ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি প্রধান সূচকের হিসেবে চালু করা হয় ডিএসইএক্স সূচকটি। ডিএসই’র পাশাপাশি অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকেরও বড় উত্থান হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর আগে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল ব্যাংক, বিমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সব খাতের শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচকের তেজিভাবের মধ্যদিয়ে শুরু হয় লেনদেন। সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে প্রি-ওপেনিং মার্কেটে বেশি মূল্যে শেয়ার কেনাবেচার সুবাদে সূচকটিতে যোগ হয়েছে ৩৮ পয়েন্ট। এর মাধ্যমে উঠে গেছে ৭০১৯ পয়েন্টে। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে সূচক গণনার নতুন নিয়ম প্রবর্তনসহ ডিএসইএক্স সূচক চালুর পর এই প্রথম সূচকটি ৭০০০ পয়েন্টের মাইলফলক অতিক্রম করল। সূচকটির বৃদ্ধিতে বেশিরভাগ শেয়ারের দরবৃদ্ধি ভ‚মিকা রাখছে। তবে একক কোম্পানি হিসেবে বেশি অবদান রাখছে বেক্সিমকো লিমিটেড। লেনদেনের প্রথম আধাঘণ্টা শেষে শেয়ারটির বাজারদর আগের দিনের ১১৫ দশমিক ৬০ টাকা থেকে ১১৮ দশমিক ২০ টাকায় ওঠায় সূচকে যোগ হয়েছে অন্তত ছয় পয়েন্ট। এছাড়া স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, লাফার্জ-হোলসিম, বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দরবৃদ্ধি সূচকে যোগ করে প্রায় ১২ পয়েন্ট। একক খাত হিসেবে ব্যাংক সূচকের দরবৃদ্ধিতে বেশি অবদান রাখছে। এর পরেরই রয়েছে, ওষুধ ও রসায়ন, বিবিধ, বিমা এবং বস্ত্র খাত। গত বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স ৭০০০ পয়েন্টের নতুন মাইলফলক থেকে মাত্র ১৯ পয়েন্ট দূরে থেকে ক্লোজ হয়েছিল। গতকাল ওই অবস্থান থেকে যাত্রা শুরু করে। যদিও বৃহস্পতিবার লেনদেনের শেষ অংশে সূচকটি ৬৯৯১ পয়েন্ট পর্যন্ত উঠেছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিনের অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা কাটিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইনের শাসন এবং জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করায় পুঁজিবাজারে ক্রমান্বয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। ফলস্বরূপ দীর্ঘদিন থেকে পুঁজিবাজার ঊর্ধ্বমুখী। বিএসইসি’র প্রচেষ্টায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উপযোগী বাজার তৈরির চেষ্টা চলছে। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে ফিরতে শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন পর পুঁজিবাজার নিয়ে সবাই খুশি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, গত এক বছর ধরে পুঁজিবাজারে নতুন ধরন দেখছি। বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন অনেকগুলো ভালো পদক্ষেপ নিয়েছে। এখানে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইএক্স সূচক সর্বশেষ ৬০০০ পয়েন্টের মাইলফলক ছাড়িয়ে ওপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল গত ৩০ মে। সে হিসাবে মাত্র দুই মাসেই দেশের প্রধান এ মূল্য সূচকে যোগ হয়েছে হাজার পয়েন্ট। এর আগে ৪০০০ পয়েন্ট থেকে ৫০০০ পয়েন্টে এবং ৫০০০ থেকে ৬০০০ পয়েন্টে সূচকটির উঠতে ছয় মাস করে সময় লেগেছিল। গতকাল লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টা শেষে ডিএসইএক্স সূচকটি গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় ৭১ পয়েন্ট বেড়ে ৭০৫২ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের নেতৃত্বে নতুন কমিশন গঠনের পর থেকে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী ধারা ফিরেছে। গত বছরের মে মাসে দায়িত্ব গ্রহণের সময় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চলা দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের মধ্যে কমিশনের শীর্ষ পদে নতুন নেতৃত্ব এসেছিল। তখন লকডাউনে অন্য সব কিছুর মতো শেয়ারবাজারও বন্ধ ছিল। লকডাউন শেষ হওয়ার পরই গত বছরের ৩১ মে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়। তখন ফের দরপতন শুরু হয়েছিল।
তবে শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে শেয়ারবাজার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নানামুখী পদক্ষেপ নেন। বিশেষত শেয়ারের চাহিদা সৃষ্টি করতে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির পরিচালক পদে থাকতে ২০১১ সালে করা নির্দেশনা মোতাবেক ন্যূনতম দুই শতাংশ শেয়ার থাকা এবং সব তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের শর্ত পরিপালনে বাধ্য করতে কঠোর অবস্থানে যায় এ কমিশন। এর ফলও মেলে হাতেনাতে। এর পর রুগ্ন কোম্পানির পরিষদ পুনর্গঠনসহ কমিশনের উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসা কুড়ায়।
সূত্র মতে, এক বছর ধরেই শেয়ারবাজার ভালো অবস্থানে রয়েছে। এর পেছনে বেশকিছু বিষয় কাজ করেছে। করোনার কারণে মানুষের বিকল্প বিনিয়োগকারীদের সুযোগ কমে গেছে। ব্যাংকের সুদের হারও কম। আবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ। যা বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে। এর সঙ্গে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়। এটিও শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী এহতেশামুজ্জামান বলেন, ২০১০ সালের পর গত এক বছর শেয়ারবাজার সব থেকে ভালো সময় পার করেছে। এর অন্যতম একটি কারণ সুদের হার কম থাকা। ব্যাংকে টাকা রাখলে এখন খুব একটা মুনাফা পাওয়া যায় না। বরং শেয়ারবাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে ব্যাংকের থেকে অনেক বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। আবার ঘরে বসেই মোবাইল, ই-মেইলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন। এসবের ইতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারে দেখা যাচ্ছে।
ডিএসই’র পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, দেশের পুঁজিবাজার এখন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দুর্বল কোম্পানি থেকে বিনিয়োগকারীরা এখন মৌলভিত্তিক কোম্পানিতে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। তাই বাজার আর পড়বে না, বরং বাড়বে। তিনি বলেন, এখন বাজার ঘুরে দাঁড়াবেই। আমার ধারণা আগামী বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হবে। আর সূচক কোনো ব্যাপার না। এটি কেবল সাত হাজারে উঠেছে, এটা ২০ হাজার পয়েন্ট পর্যন্ত উঠবে। এটা কোনো বিষয় না। তিনি আরো বলেন, আজকে ভারতের পুঁজিবাজারের সূচক ৫৪ হাজার। তো সূচক কোনো ব্যাপার না। শেয়ারের দাম বাড়লে, সূচক বাড়বে।
গতকাল বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, লেনদেনের শুরুতেই সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে সূচকের বড় উত্থান হয়। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ২০৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩০টির। আর ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭১ পয়েন্ট বেড়ে সাত হাজার ৫৩ পয়েন্টে উঠে এসেছে। মূল্য সূচকের ভুল গণনা বন্ধ করতে ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি নতুন সূচক ডিএসইএক্স চালু করে ডিএসই। চার হাজার ৫৫ দশমিক ৯০ পয়েন্ট দিয়ে শুরু হওয়া সূচকটি এই প্রথম সাত হাজার পয়েন্টের মাইলফলক স্পর্শ করল। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৫৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন সবকটি মূল্য সূচকের উত্থানের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৬৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২ হাজার ৪৭৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৩৯৪ কোটি সাত লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৮৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের ৬৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৬০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ডরিন পাওয়ার, শাহজিবাজার পাওয়ার, পাওয়ার গ্রিড, আইএফআইসি ব্যাংক, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স এবং জিপিএইচ ইস্পাত। এই উত্থানে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন পাঁচ হাজার ৫৬৮ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৬৯ হাজার ২৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।
অন্যদিকে দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ২০ হাজার ৫৬৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯৮টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ১০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ১৯৯ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৮ কোটি ৩০ লাখ ৯ হাজার ৯০ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজার সংশ্লিষ্ট একজন (ব্রোকার) বলেন, বর্তমান কমিশনের নানামুখী পদেক্ষেপে দীর্ঘদিন পর পুঁজিবাজারের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরেছে। আর তাই একেএক পুঁজিবাজারের সবগুলো রেকর্ড ভাঙছে। অবশ্য এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কম সুদে ব্যাংকে বিনিয়োগের চেয়ে মানুষ এখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করছে। যে কারণে ২০১০ সালের মতো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওই ব্রোকারের মতে, বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের ঊর্ধ্বমুখী এ প্রবণতা শুরু হয়েছিল গত এপ্রিলে। তিনি বলেন, বাজারের গতি যেহেতু ঊর্ধ্বমুখী, তাই কিছু সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও আসছে। তাই গত ৬ মাস ধরে সূচকগুলো বেড়েই চলেছে।
একজন মার্চেন্ট ব্যাংকারের মতে, পুঁজিবাজারের এ উত্থানের পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। যেমন- ব্যাংকের স্বল্প সুদ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার বর্তমান কমিশনের ওপর আস্থা এবং শেয়ারের দাম কম থাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।