পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইপিও অনুমোদন পেয়েছে ১৪টি কোম্পানি 0 বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৭০০ কোটি টাকা তুলেছে পাঁচ কোম্পানি
দেশের শিল্প খাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে পুঁজিবাজার থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পেয়েছে ১৪টি কোম্পানি। এর মধ্যে ১১টি কোম্পানি আইপিও প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে লেনদেন শুরু করেছে। এই ১১টি কোম্পানি তাদের ব্যবসা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য শেয়ারবাজার থেকে ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। বাকি তিনটি কোম্পানি লেনদেন শুরু করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
চলতি বছর শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে বাজারে আসার জন্য সর্বশেষ আইপিও আবেদন ছিল ইউনিয়ন ব্যাংক। কয়েকদিন আগে নতুন করে আরো একটি বিমা কোম্পানির আইপিও আবেদন জমা পড়েছে বিএসইতে। বিএসইসি চেয়্যারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবায়েত উল ইসলামের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যেন বাজারে চমক সৃষ্টি হয়েছে। একের পর এক দূরদর্শিতামূলক সিদ্ধান্ত নিয়ে বাজারে একের পর এক রেকর্ড করছে। এবার বিএসইসি আইপিও শূন্য করে তিনি আরো এক রেকর্ড করেছেন।
যেখানে অন্য কমিশনের সময়ে বিএসইসিতে আইপিওর জটলা সৃষ্টি হতো, সেখানে শিবলী কমিশনের আমলে আইপিও পেন্ডিং নাই বললেই চলে। এটি অবশ্যই শিবলী কমিশনের দায়িত্বের দূরদর্শিতার ফল। বিএসইসির চেয়্যারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবায়েত উল ইসলাম দায়িত্ব নিয়েই বলেছিলেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলোর সবকিছু ঠিক থাকলে কমিশন অনুমোদন দিয়ে দিবে। আর যাদের কাগজে গাফলা রয়েছে তাদের বাজারে আশার সুযোগ নেই। ঠিক তাই হয়েছে। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর যে যে কোম্পানির তথ্য সঠিক ছিল, তারা যথাসময়ে আইপিওর অনুমোদন পেয়েছে। আবার যাদের কাগজে গাফলা ছিল, তারা কেউ কেউ নিজেরাই আইপিও আবেদন তুলে নিয়েছে। আবার কিছু কিছু আবেদন বিএসইসি বাতিল করেছে।
বিএসইসি’র এমন কাজের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে এএফসি ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী মাহবুব এইচ মজুমদার বলেন, নতুন কমিশন আসার পর থেকে বাজারের যেমন গতি বেড়েছে, ঠিক তেমনই বিএসইসির কাজেরও গতি বেড়েছে। এতে করে কোনো আইপিও পেন্ডিং নেই। যারা অনুমোদন পাওয়ার মতো তাদেরকে অনুমোদন দিয়েছে। আর যাদের তথ্যে সমস্যা আছে তাদের আইপিও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে বিএসইসিতে আইপিও পেন্ডিং না থাকলেও জুন ক্লোজিং হয়েছে মাত্র। এতে করে যারা আইপিও আবেদন করবে তারা নতুন প্রতিবেদন দিয়ে আবেদন করবে। আমাদেরও দুই একটি আইপিও আবেদন করার প্রস্তুতি রয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সাধারণ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষোদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান কমিশনের দূরদর্শিতার কারণে এখন আর আইপিও পেন্ডিং থাকে না। এতে করে কোম্পানিগুলোর অনেক খরচ কমেছে। আইপিও পেন্ডিং থাকলে নতুন করে আবার যখন কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিতে হয়, তখন নতুন করে খরচ বেড়ে যায়।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইপিওতে আসা কোম্পানিগুলো মোট ১ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করেছে ১১টি কোম্পানি। যার মধ্যে ১০ টাকা মূল্যে বাজারে শেয়ার ছেড়ে তালিকাভুক্ত হওয়া ছয় কোম্পানি ৩০০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এই ছয় কোম্পানির মধ্যে আইপিওতে ৩ কোটি সাধারণ শেয়ার ছাড়ে। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা পুঁজি উত্তোলন করেছে। ই-জেনারশেন লিমিটেড আইপিওতে ১ কোটি ৫০ লাখ সাধারণ শেয়ার ছাড়ে। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। আইপিও’র মাধ্যমে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা পুঁজি উত্তোলন করেছে। গত কয়েক বছর থেকে ব্যাংকিং খাতে আস্থার নাম এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ১২০ কোটি টাকার পুঁজি সংগ্রহ করবে। এ জন্য ব্যাংকটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুতে ১২ কোটি শেয়ার বিক্রি করে। দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড প্রতিটি ১০ টাকা দরে ১ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ১৬ কেটি টাকা সংগ্রহ করেছে। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ১০ টাকা ইস্যু মূল্যের ১ দশমিক ৯০ কোটি (এক কোটি নব্বই লক্ষ) সাধারণ শেয়ার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) এর মাধ্যমে ইস্যু করে। এই আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি ১৯ কোটি টাকা পুঁজি উত্তোলন করেছে।
চতুর্থ প্রজন্মের সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক ১০ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। ব্যাংকটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুতে আইপিওতে ১০ কোটি শেয়ার ছেড়েছে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বাজারে এসেছে পাঁচটি কোম্পানি। এই পাঁচ কোম্পানি বাজার থেকে মোট ৭০০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।