Inqilab Logo

সোমবার ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সূচক দ্বিগুণ হলেও বাজার অতিমূল্যায়িত হয়নি

বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, গত এক বছরে শেয়ারবাজারের মূল্য সূচক প্রায় দ্বিগুণ হলেও সামগ্রিকভাবে বাজার অতি মূল্যায়িত হয়ে যায়নি। তিনি বলেন, বাজার অতি মূল্যায়িত কি না, এর কিছু পরিমাপক আছে, যার মূল হচ্ছে পিই রেশিও। পিই রেশিও বিনিয়োগ উপযোগী থাকলে শেয়ারবাজারকে অতি মূল্যায়িত বলা যায় না।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা তো নির্দিষ্ট পোর্টফোলিওতে (বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব) যেতে পারি না। আমরা ওভারঅল (বাজারের) পিই রেশিওর প্রতি খেয়াল রাখছি। আমরা এখনও সন্তোষজনক লেভেলে আছি। এটা অতি মূল্যায়িত মার্কেট না। নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান কর্ণধার বলেন, কিছু কোম্পানির শেয়ারদর মাত্রা ছাড়িয়েছে। সেগুলোর ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

গত বছরের শুরু থেকে নানা কারণে দেশের শেয়ারবাজারে প্রায় দুর্যোগ নেমে আসে। করোনার আগমনে সেই দুর্যোগ মহামারিতে রূপ নেয়। শেয়ারবাজারের চরম ক্রান্তিলগ্নে হাল ধরেন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এ সময়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে শেয়ারবাজারের লেনদেন স্থগিত হয়ে যায়। সাধারণ ছুটি শেষে জুলাইয়ে লেনদেন শুরু হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় শিবলী রুবায়াতের নেতৃত্বে শেয়ারবাজারে উত্থান। ২০১০ সালের মহাধসের পর ঘুমিয়ে যাওয়া পুঁজিবাজারে আবার প্রাণ ফিরেছে গত এক বছরে। শেয়ারমূল্য বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের লোকসানি বিও হিসাবগুলো মুনাফায় চলে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে বাজার থেকে দূরে সরে যাওয়া বিনিয়োগকারীরাও ফিরতে শুরু করেছেন। গত বছরের ২ জুলাই সূচক যেখানে ছিল তিন হাজার ৯৮৬ পয়েন্টে, সেখান থেকে তা বেড়ে গত বুধবার দাঁড়ায় সাত হাজার ১৯৬ পয়েন্টে। এ সময়ে সূচক বেড়েছে ৩ হাজার ২১০ পয়েন্ট বা ৮০ শতাংশ। এক বছরের কিছু বেশি সময়ে এ উত্থান স্বভাবতই দৃষ্টি কেড়েছে। অনেকে সাবধান করে বলছেন, শেয়ারবাজার অতি মূল্যায়িত হয়ে গেছে। তবে শেয়ারবাজার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে বিএসইসির পক্ষ থেকে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান একাধিকবার বলেছেন, তিনি মনে করেন শেয়ারবাজার অনেক দূর যাবে।

বিএসইসির চৌকষ চেয়ারম্যান বলেন, বাজারের পিই রেশিও যদি সন্তোষজনক লেভেলে থাকে তখন আর তাকে অতি মূল্যায়িত বলা যায় না। কেউ বললে, বুঝতে হবে এটি তিনি নিজে নিজে বলছেন।
তিনি বলেন, আমাদের পুরো মার্কেটের পিই এখনও সন্তোষজনক মাত্রায় আছে। কয়েকটি বা কিছু শেয়ারের বলা যায়, পিই রেশিও বেশি, কয়েকটির আবার কম। গড়ে গিয়ে ঠিক আছে। বাজার বিশ্লেষনে দেখা যায়, শেয়ারবাজারে বর্তমান পিই রেশিও এখন ১৬’র কিছু বেশি। প্রতিবেশী ভারতসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর পুঁজিবাজারে এ অনুপাত এর চেয়েও বেশি। তবে এটাও ঠিক যে, দুর্বল মৌলভিত্তির ও লোকসানি বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার মূল্য অস্বাভাবিক বেশি। কোনো কোনো কোম্পানির পিই রেশিও ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। লোকসানি কোম্পানির পিই রেশিও হয় না। এমন কোম্পানির সংখ্যাও কম নয়। যেগুলোর বিনিয়োগের জন্য মহাঝুঁকির তালিকায়। এসব কোম্পানির শেয়ারদর কেন বাড়ছে, তা খতিয়ে দেখতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি কমিটিও করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত বলেন, পিই রেশিও যেগুলোর বেশি, সেগুলোর দিকে আমরা খেয়াল রাখছি। মানুষ বেশি কেনাবেচা করে যেন কোনোভাবে ঠকে না যায়। এসব দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ারে যেন তাদের আকর্ষণ বেশি না থাকে, বিভিন্নভাবে নিরুৎসাহিত করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুঁজিবাজার

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ