Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফিলিস্তিনি হত্যা থামছে না : বিক্ষোভ চলছে

ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে নিহত ৪, আহত ৭০০

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

নিজেদের বসতভিটায় ফিরে যাওয়ার অধিকার দাবিতে গাজা উপত্যকায় গত শুক্রবার চতুর্থ দফায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। এতে দখলদার ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে চার বিক্ষোভকারী নিহত ও সাত শতাধিক আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, ১৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ ইব্রাহীম আইয়ুব, ২৪ বছরের আহমেদ রাশাদ, তার চেয়ে এক বছরের বড় আহমেদ আবু আখিল ও ২৯ বছর বয়সী আব্দুল মাজিদ আবদুল আল আবু তাহা। এ নিয়ে গত তিন সপ্তাহে অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হলো। ফিলিস্তিন বিক্ষোভকারীদের পাথর ছোড়ার জবাব গুলি ছুড়ে দিচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলি সেনারা লিফলেট বিলিয়ে সীমান্তের কাছে ঘেঁষতে নিষেধ করলেও কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে সীমান্ত বেড়া কাটার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত আরও দেড়শতাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানান ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। ধারাবাহিক এ সংঘর্ষে নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ বিবাদমান পক্ষগুলোকে ‘সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের’ অনুরোধ আগেই করেছে। কিন্তু কেউ সেই অনুরোধে কর্ণপাত করেনি। শুক্রবার এক টুইটে জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত নিকোলাই লাদেনভ বলেন, “একটি শিশুকে গুলি করে হত্যা করা ভয়ঙ্করতম নিষ্ঠুরতা। গাজায় আজ এভাবে একটি শিশুকে হত্যা কিভাবে শান্তিতে সহায়তা করবে? এটা করতে পারবে না! এই ঘটনা ক্ষোভ বাড়াবে এবং সেটা নতুন করে হত্যার কারণ হবে। শিশুদের অবশ্যই নৃশংসতা থেকে রক্ষা করতে হবে, তাদের প্রতি সহিংস হওয়া উচিত না।” এর জবাবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর অবসরে যাওয়া এক কর্মকর্তার টুইট, “দয়াকরে গাজায় যান, হামাসের সঙ্গে আলোচনা করুন এবং তাদেরকে সীমান্ত বেড়ার কাছে লোকজন পাঠানো বন্ধ করতে বলুন।” ১৯৪৮ সালে শরণার্থী হওয়া লাখ লাখ মানুষকে ইসরাইলের দখলে থাকা এলাকায় ফিরতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে সীমান্ত বরাবর ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ নামের এ বিক্ষোভের ডাক দেয় হামাসসহ বিভিন্ন সংগঠন। শুরুর দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ৩০ মার্চকে; ১৯৭৬ সালের এই দিনে ভূমি দখলের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ছয় বিক্ষোভকারী নিহত হন। ভূমি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার ৭০তম বার্ষিকীতে আগামী ১৫ মে এ কর্মসূচি শেষ হওয়ার নির্ধারিত তারিখ। ফিলিস্তিনিদের দাবি, শরণার্থী হওয়া পরিবারগুলোকে তাদের ভূমিতে ফিরতে দিতে হবে। অন্যদিকে ইসরাইল বলছে, হামলার দূরভিসন্ধি থেকেই হামাস এ বিক্ষোভের ফন্দি এঁটেছে। আল-জাজিরা, এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিনি


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ