Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসরাইলি অবরোধে বিনা চিকিৎসায় মারা গেল ফিলিস্তিনি শিশু

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ১০:৫৭ এএম

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মস্তিষ্কের অ্যাট্রোফি রোগে আক্রান্ত ৬ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি শিশু মারা গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজা উপত্যকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও ইসরাইলি সেনাদের বাধার কারণে যেতে পারেনি। অবশেষে রোববার বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে ৬ বছর বয়সী শিশু ফারুক আবু আবুল-নাজা।

গাজার মানবাধিকার সংগঠন আল-মিজান সেন্টার বলেছে, জেরুসালেম আল-কুদস শহরের হাদাসা এইন কেরেম হাসপাতালে আবুল-নাজার চিকিৎসা হওয়ার কথা ছিল। কারণ, গাজার কোনো হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসা নেই।

কিন্তু ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনি শিশুটিকে গাজা থেকে জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত হাসপাতালটিতে যেতে দেয়নি। আল-মিজান সেন্টার বলছে, কাজেই আবুল-নাজার মৃত্যুর জন্য সম্পূর্ণভাবে তেল আবিব দায়ী।

হাদাসা হাসপাতালে আবুল-নাজার চিকিৎসার তারিখ ছিল গত জানুয়ারি মাসে। এজন্য সেখানে যেতে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের কাছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সে আবেদন পর্যালোচনা করতে মাসের পর মাস সময় নেয় তেল আবিব। চলতি আগস্ট মাসে তার আরেকবার ওই হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার আবেদনে সাড়া দেয়নি দখলদার ইসরাইল।

আল-মিজান সেন্টারের হিসাব অনুযায়ী, গাজা উপত্যকার বাইরে যাওয়ার অনুমতি না পাওয়ায় চলতি বছরের গত আট মাসে এই উপত্যকার চার রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে যাদের মধ্যে তিনজনই শিশু।

ইসরাইল ২০০৭ সালে গাজা উপত্যকার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর ফলে উপত্যকায় ব্যাপকভাবে বেকারত্ব ছড়িয়ে পড়ে এবং জীবনযাত্রার মান ভয়ঙ্করভাবে নিচে নেমে যায়। দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত গাজা উপত্যকার ওপর ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে ইসরাইল। প্রতিটি যুদ্ধে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে এবং উপত্যকার মানুষ আগের চেয়ে আরো বেশি হতদরিদ্র হয়ে পড়েছে।
সূত্র : পার্সটুডে



 

Show all comments
  • jack ali ২৯ আগস্ট, ২০২২, ১:৪৪ পিএম says : 0
    সারা বিশ্বের মুসলিম অধ্যুষিত সরকাররা তারা হচ্ছে কাফেরদের পা চাটা গোলাম তারা নিজেরাই যারা আল্লাহর আইন চায় তাদেরকে হত্যা করে গুম করে সেইজন্যই তো কাফেররা আমাদের পরে সবাই মিলে জঘন্যতম অত্যাচার করে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ