বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মসজিদের জায়গা দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দক্ষিণ জলিরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই গ্রামের সউদী প্রবাসী নুর আলম কাজীর স্ত্রী রেহানা বেগম, জামাল মল্লিক, জামাল লষ্কর ও সিরাজুল ইসলাম মসজিদের ৫ শতাংশ জায়গা দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করেছে বলে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী শেখ অভিযোগ করেছেন। দখলদাররা নিজেদের ভূমিহীন দাবি করে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নেয়ার পাঁয়তারা করছেন বলে অকবর আলী শেখ জানান। এ ঘটনায় এলাকার মুসলমানদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রতিকার চেয়ে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, উপজেলার দক্ষিণ জলিরপাড়ে ১৯৮২ সালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৮ শতাংশ জায়গার ওপর ‘জলিরপাড় বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ’ নামে একটি মসজিদ নির্মিাণ হয়। পরবর্তীতে জায়গাটি জেলা প্রশাসন ১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত করে। বিআরএস রেকর্ডে ওই ৩৮ শতাংশ সম্পত্তি মসজিদের নামে রেকর্ড করা হয়েছে। সম্প্রতি ৪ পরিবার মসজিদের জায়গা দখল করে বসতঘর নির্মাল করে। মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে দখলকৃত জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা এ অনুরোধে শুনছেন না।
মসজিদের সাবেক সভাপতি আব্দুল আলী মিনা বলেন, ‘জবরদখলকারীরা অর্থের প্রভাব খাটিয়ে মসজিদের জমি দখল করে রেখেছে। মাঝে মসজিদের কমিটি ছিলো না। এ সুযোগে মসজিদ সংলগ্ন ৪ পরিবার মসজিদের জায়গা দখল করে। তাদের অনুরোধ করার পরও তারা মসজিদের জায়গা ছাড়তে টালবাহান করছে। এমনকি জায়গার বিরোধও নিস্পত্তি করছে না। এই মুহূর্তে মসজিদের জায়গা উদ্ধার করা জরুরী হয়ে পড়েছে।’ দখলদার প্রবাসী নুর আলম কাজীর স্ত্রী রেহানা বেগম, জামাল মল্লিক বলেন, আমরা এখানে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে বসবাস করছি। এ জায়গা আমাদের মনে করেই বসতঘর নির্মাণ করেছি। আমাদের জায়গার মধ্যে মসজিদের সামান্য জায়গা রয়েছে বলে মসজিদ কমিটি দাবি করেছে। জায়গা পরিমাপ করে এ বিরোধ নিস্পত্তি হতে পারে। তাই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদের জায়গা দখলে রাখার কোন ইচ্ছাই আমাদের নেই।
জলিরপাড় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বি.আর. এস পর্চায় দক্ষিণ জলিরপাড় মসজিদ উল্লেখ রয়েছে। মসজিদের জায়গা কেউ দখল করতে পারবেনা। জায়গা পরিমাপের ব্যবস্থা করলে বিরোধ নিষ্পত্তি হবে। এলাকাবাসী মসজিদের জমি উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন বলে শুনেছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।