পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের বাসভবনে সিটি কর্পোরেশনের তিন প্যানেল মেয়রসহ ১৩ কাউন্সিলরের বৈঠকে তোলপাড় চলছে নগরজুড়ে। শাহী ঈদগাহ হাজারীবাগের ‘নীরু মঞ্জিলে’ গত বুধবার রাতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) এর জনপ্রতিনিধিদের এক চা-চক্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে যোগ দেন বিএনপিপন্থি ১২ জন ও জামায়াত সমর্থিত ১ জন কাউন্সিলর। সেলিমই কাউন্সিলরদের চা-পানের দাওয়াত দিয়ে তাঁর বাসায় ডেকে নেন। নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের আমন্ত্রণ পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই তারা সেখানে যান। এসময় কাউন্সিলরদের সাথে সেলিমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর ওই বৈঠক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দেয় একটি মহল। তারা বলছে ওই বৈঠকে নাকি কাউন্সিলরবৃন্দ আরিফের বিপক্ষে কাজ করার কথা জানিয়েছেন। তবে তারা বলছেন ওরকম কোন কিছুই সেখানে আলোচনা হয়নি। এমন প্রচারণা উড়িয়ে দিয়েছেন বৈঠকে যোগ দেয়া জনপ্রতিনিধিরা। রাতের ওই চা-চক্র নিয়েই এখন নগরীতে চলছে তোলপাড়; চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
তাদের অবস্থান এমন- ‘দল যাকে চায়, আমরাও তাকে চাই’। বৈঠকে জামায়াত সমর্থিত ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজিক মিয়াও উপস্থিত ছিলেন। ওই চা-চক্রে যোগ দেয়া তিন প্যানেল মেয়রসহ কাউন্সিলরবৃন্দের বেশিরভাগের মন্তব্য তারা কাউকে সমর্থন দিতে সেখানে যাননি। আসন্ন সিসিক নির্বাচনে দল যাকে সমর্থন দিবে তারা সেই প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করবেন। তাদের মন্তব্য বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরবাসীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন, তার বিপক্ষে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই।
শুক্রবার দুপুরে আলোচিত ওই বৈঠক নিয়ে নিজের মন্তব্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের টানা তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও নগর উন্নয়ন কমিটির সাবেক সভাপতি ফরহাদ চৌধুরী শামীম বলেন- ‘আমরা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তার পাশাপাশি বিএনপি’র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত-সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক সিলেট মহানগর বিএনপি’র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত কারো ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের পাত্র নই। গত ১৮ এপ্রিল মহানগর বিএনপি’র সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের বাসায় চা-পানের আমন্ত্রণে আমরা জনপ্রতিনিধিরা গিয়েছিলাম। যেহেতু বদরুজ্জামান সেলিম মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আমাদের যাওয়াটা স্বাভাবিক, না যাওয়া অস্বাভাবিক। বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান পরিষদের সভাপতি। তাঁর নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন কাউন্সিলররা। এখানে তাঁর বিরুদ্ধবাদিতা করার কোনো অবকাশ নেই।’
সিসিকের সিনিয়র কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম আরোও বলেন- ‘বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনিও আমাদের নেতা। আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। আসন্ন সিটি নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দিবে তাঁর পক্ষে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ়।
অন্যদিকে একই বৈঠক নিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন নগরীর ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপি নেতা আবদুর রকিব তুহিন। তিনি বলেছেন- ‘বদরুজ্জামান সেলিম ভাই আমাদেরকে চা পানের দাওয়াত দিয়েছিলেন। সেলিম ভাইয়ের বাসায় আমরা কেউই কখনো বলিনি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিরূদ্ধে আমরা। সিলেটের উন্নয়নে মেয়র আরিফ অবিরত কাজ করে চলেছেন। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিরূদ্ধে যেতে পারিনা।’
গত বুধবার রাতে সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারীবাগের নীরু মঞ্জিলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ৩ প্যানেল মেয়রসহ ১৩ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। তারা হচ্ছেন ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজিক মিয়া, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ চৌধুরী, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দিনার খান হাসু, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-৩ অ্যাডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর সালেহা কবির শেপী।
এদিকে সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে আসন্ন সিটি নির্বাচনে প্রার্থীতার ব্যাপারে নিজেরা আগ্রহী বলে জানিয়েছিলেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম ও কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। দলের হাইকমান্ড যদি তাদের মনোনয়ন দেয় তবে তারা নির্বাচন করবেন। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে তারা নির্বাচনে যাবেন না। পাশাপাশি দল যাকে সমর্থন দেবে তার স্বপক্ষেও অতীতের মতো তারা মাঠে কাজ করবেন বলেও জানান তারা। দু’জনেই মেয়র পদে মনোনয়ন বাগিয়ে নেয়ার জন্য জোরেসোরে লবিং অব্যাহত রেখেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।