গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে মধ্যরাতে ছাত্রীদের বের করে দেওয়া হয়নি, তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘মেয়েদের বের করে দেওয়া হয়নি। তিন ছাত্রীকে অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বের করে দেওয়ার কথাটা গুজব। এর মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পাঁয়তারা চলছে। হল থেকে কাউকেই বের করে দেওয়া হয়নি।’
বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে সুফিয়া কামাল হল থেকে তিন ছাত্রীকে বের করে দেওয়ার ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আজ শুক্রবার সকালে উপাচার্য ড. মো. আক্তারুজ্জামান এসব কথা বলেন। কেন তিন শিক্ষার্থীকে হল ছাড়তে হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কারণ জানার চেষ্টা করছি। তা জানতে পারলে জানাবো।’
বৃহস্পতিবার রাতে সুফিয়া কামাল হল থেকে বের করে দেওয়া তিন ছাত্রী হলেন— গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শারমীন শুভ, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুন্নাহার লিজা ও গণিত বিভাগের পারভীন। রাত ১০টার দিকে পারভীন ও লিজা এবং রাত ১২টার দিকে শুভকে হল ছাড়তে হয়। তাদের অভিভাবকরা এসে তাদের নিয়ে যান। এ সময় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিমির বাবা ধামরাই থেকে সুফিয়া কামাল হলে উপস্থিত হন রাত সাড়ে ১২টার দিকে। পরে তিনি একাই হল অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমানও দাবি করেন, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা স্বেচ্ছায় তাদের মেয়েদের হল থেকে নিয়ে গেছেন। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে তিনি বলেন, ‘এশা একজন শিক্ষার্থীর রগ কেটে দিয়েছিল বলে যে গুজব ১০ এপ্রিল ছড়ানো হয়েছিল, মোবাইল চেক করে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করেছি। যারা ওই ঘটনায় জড়িত ছিল, তাদের অভিভাবকদের হলে ডেকেছি। তাদের ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভিডিওগুলো দেখানো হয়েছে। তখন অভিভাবকরা নিজেরাও লজ্জা পেয়েছেন এবং তারা স্বেচ্ছায় তাদের মেয়েদের নিয়ে গেছেন।’
জানতে চাইলে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘মেয়েদের হল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা সত্য নয়। অভিভাবকেরা এসে মেয়েদের নিয়ে গেছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।’
কেন মেয়েদের হল ছাড়তে হয়েছে, জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ‘এ বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষ জানে। আমরা কারণ জানার চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হল থেকে বের করে দেওয়া তিন শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকদের বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।