Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিনিয়োগের স্বার্থে নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছি : লি গুয়ংজুন

বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর চায় চীন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিগ্নে অনুষ্ঠিত হোক সেটাই চাচ্ছে চীন বলে জানিয়েছেন ঢাকাস্থ চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য কাউন্সিলার লি গুয়ংজুন। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। আশা করি এ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি নতুন সরকার মসৃণভাবে পালাবদল করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ চীনের দূতাবাসে ‘পাবলিসিটি অব চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট এক্সপোট অ্যান্ড বাইল্যাটারেল ইকোনমিক কোঅপারেশন’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন গুয়ংজুন। ঢাকায় কর্মরত চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য কাউন্সিলার লি গুয়ংজুন বলেন, আগামী দিনে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে প্রচুর বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে চীন। তাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ থাকবে। তিনি আরো বলেন, নভেম্বরে চীনের সাংহাই শহরে এ আন্তর্জাতিক মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এ মেলা বিশ্ব জনগণের জন্য প্রতিশ্রæতি দিচ্ছে ভালো মানের পণ্য সরবরাহ করতে। মেলায় সব দেশ একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে। বলা যেতে পারে এটি একটি উন্মুক্ত মঞ্চ যেখানে সবাই স্বাগত। এখানে শুধু চীনের পণ্য নয়, বিশ্বের যেকোনো দেশে উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করা যাবে। লি গুয়ংজুন বলেন, ২০১৮ সাল চীনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চীনে এ বছর নির্বিঘেœ নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। চীনের সরকার বাংলাদেশে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে থাকে। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সফরে বিনিয়োগের ক্ষেত্র বেশ কিছু সমঝোতা হয়েছে। সেগুলোর অবস্থা কী জানতে চাইলে লি গুয়ংজুন বলেন, সমঝোতা কোনো চুক্তি নয়। সমঝোতা হলো দুই পক্ষ একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে একটি মানসিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার প্রত্যয়। বাণিজ্য একটি বড় ইস্যু। বছরে বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ চীন থেকে আমদানি করে ১৫ বিলিয়ন ডলার; আর চীন বাংলাদেশ থেকে আমদানি করে ১ বিলিয়ন ডলার। চীন কাউকে বাধ্য করে না এ বৈষম্যের জন্য। এটি মার্কেটের কারণে হয়ে থাকে। যেখানে যেমন চাহিদা সেভাবেই বাজার নিয়ন্ত্রিত হয়। এ বৈষম্য কমবে বলে আমি মনে করি না। তবে চীন বাংলাদেশ থেকে আরো পণ্য আমদানি করবে।
তৈরি পোশাক সম্পর্কে তিনি বলেন, চীনে এই পণ্যের বাংলাদেশি বাজার বাড়ছে। কারণ চীনে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দিন দিন বাড়ছে। চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য কাউন্সিলার আরো বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চায়। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশে নানান পণ্য বিশ্ব বাজারে ছড়াতে চীনের বিনিয়োগ পাবে। সংবাদ সম্মেলনে চীনের উপ-রাষ্ট্রদূত উই চেনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



 

Show all comments
  • গোলাম ফারুক ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ৪:১০ এএম says : 0
    বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্ভব
    Total Reply(0) Reply
  • রমিজ উদ্দিন ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ৪:১১ এএম says : 0
    বিষয়টি সরকারের দেশপ্রেমিক কর্তাব্যক্তিরা ভেবে দেখবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • লাভলু ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ৪:১৩ এএম says : 0
    দেশে এখন গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ খুব জরুরী
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিনিয়োগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ