পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে বাসচাপায় হাত হারানোর পর হাসপাতালে মারা যাওয়া রাজীবের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল নয়টায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার পাবলিক মাঠে জানাজা শেষে রাজীবের লাশ দাফন করা হয়। জানাজা পড়ান তাঁর আপন ছোট ভাই সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মো. মেহেদী হাসান। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সরকারদলীয় চিফ হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ আ স ম ফিরোজ, জেলা প্রশাসক মাছুমুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান, দাসপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এন এম জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে নানাবাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়া গ্রামে তার লাশ পৌঁছায়। লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি গ্রামে পৌঁছালে গ্রামজুড়েই যেন শোকের মাতম শুরু হয়। গতকাল সকাল থেকে হাজারো নারী-পুরুষ ভিড় করেন রাজীবের নানাবাড়িতে।
এদিকে রাজীবের দুই ভাইয়ের পড়ালেখার দায়িত্ব নেবে বলে জানিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি তার পরিবারকে এককালীন পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এসব কথা জানান। তিনি বলেন, রাজীবের পরিবারকে এককালীন পঞ্চাশ হাজার টাকা দেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা রাজীবের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। রাজীবের পরিবার সম্মতি দিলে ছোট দুই ভাই মেহেদি ও আব্দুল্লাহকে মিরপুরের শিশু পরিবারে রেখে তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল কারওয়ান বাজারে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে বিআরটিসির একটি বাসের সঙ্গে স্বজন পরিবহনের একটি বাসের চাপায় পড়ে ডান হাত হারান রাজীব। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার দিনগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে রাজীব হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বাউফল উপজেলার বাসিন্দা রাজীব তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াকালে মা এবং অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালে বাবাকে হারান। এরপর মতিঝিলে খালা জাহানারা বেগমের বাসায় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিতুমীর কলেজে স্নাতকে ভর্তি হয়ে যাত্রাবাড়ীতে মেসে থেকে পড়াশোনা করছিলেন রাজীব। পাশাপাশি তিনি একটি কম্পিউটারের দোকানেও কাজ করতেন। নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি ছোট দুই ভাইয়ের খরচও চালাতে হতো তাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।