Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশের গ্রুপে পাকিস্তান

সাফের আগেই কোচ পাচ্ছে মামুনুলরা

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

২০০৩ সালে নিজেদের মাঠে প্রথম এবং এখন পর্যন্ত সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে সর্বশেষ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল সাফ ফুটবলের আসর। সেবারই শেষবারের মতো সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার পর পরের তিনটি আসরে বাংলাদেশের বিদায় হয়েছে গ্রæপ পর্ব থেকেই। আবারও ঘরের মাঠে ফিরেছে সাফ, শিরোপা কি ফিরবে ঘরে! গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আগামী ৪ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিক বাংলাদেশের সঙ্গে ‘এ’ গ্রুপে পড়েছে পাকিস্তান, নেপাল ও ভুটান। আর ‘বি’ গ্রুপে খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ।
২০১৫ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় শিরোপা জিতেছিল স্বাগতিক দেশ। রানার্সআপ হয়েছিল আফগানিস্তান। আফগানিস্তান এবার সাফে নেই। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল থেকে বেরিয়ে তারা এখন মধ্য এশীয় অঞ্চলের সদস্য। গতবারের মতো এবারও অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখালেও খেলা হচ্ছে না আফগানিস্তানের। অনান্য দেশগুলোর আপত্তিই কারণ হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন সাফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ‘এবারও আফগানিস্তান খেলতে চেয়ে অনুরোধ করেছিল। আমারও কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু নিজেদের মধ্যে বৈঠকের সময় প্রতিনিধিদের কথাগুলো ছিল এরকম- সাফ সাফই থাকবে। সাফের (দক্ষিণ এশিয়া) বাইরের কোনো দল এখানে থাকবে না। এ কারণেই আফগানিস্তানকে রাখা যায়নি।’
টুর্নামেন্টের ম্যাচ সূচি এখনও জানায়নি আয়োজকরা। তবে রাতে খেলা থাকলে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের বর্তমান ফ্লাড লাইটে সেটা সম্ভব নয়। সালাউদ্দিন জানালেন বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে, ‘আমরা এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি। তারাও বিষয়টা নিয়ে বসেছে। আশা করি, সামনের সপ্তাহের মধ্যে এ সমস্যার সমাধানের একটা সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে।’
এবারও নিজেদের মাঠে খেলা বলে আশাবাদী বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি এবং সাবেক ফুটবলার সালাউদ্দিন জানালেন সহজ গ্রæপ বলতে কিছু নেই, ‘চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে আপনাকে শক্তিশালী এবং দুর্বল সব প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই খেলতে হবে। আমার প্রত্যাশা তো দল ফাইনালে খেলবে। আসলে আমাদের গত প্রজন্ম ভালো ছিল না; এই প্রজন্মের খেলোয়াড়রা নতুন এবং তাদের নিয়ে আমি আশাবাদী। তবে, একটা কথা মনে রাখতে হবে, বাফুফে শুধু খেলোয়াড়দের জন্য দরকারি সবকিছুর ব্যবস্থা করে দিতে পারে। খেলে দিতে পারে না। কাতার, থাইল্যান্ডে প্রস্তুতির সুযোগ করে দিয়েছি। লাওসে প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিয়েছি। সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা দিচ্ছি কিন্তু বাকি কাজটা খেলোয়াড়দেরই করতে হবে।’
চুক্তির মেয়াদ ফুরানোর আগেই দল ছেড়েছেন কোচ অ্যান্ড্রু অর্ড। বর্তমান জাতীয় দলের কোচের পদটা তাই ফাঁকা। সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ জানালেন দ্রুতই কোচ নিয়োগ দেবেন তারা, ‘দল পূর্ণ প্রস্তুতির মধ্যে আছে। বেশ কয়েকজন কোচের আমাদের সঙ্গে কথা চলছে। আশা করি আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে কোচের বিষয়টি সুরাহা হয়ে যাবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ