পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সউদী বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন রাজধানী স্থানান্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণাকে আবারো অবৈধ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনের ইস্যুই তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং পূর্ব জেরুজালেমই ফিলিস্তিনের রাজধানী। দাহরানে আরব লিগের বৈঠকের উদ্বোধনীতে এসব কথা বলেন তিনি। সউদী বাদশাহ বলেন, ‘ফিলিস্তিন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। যতদিন দেশটির নাগরিকরা তাদের রাষ্ট্র ও এর রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুজালেম না পান ততদিন আমরা তাদের পাশে থাকবো।’ জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতি দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেন তিনি। বলেন, ‘আমরা জোর দিয়ে বলছি পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনি অংশ।’
৮২ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান এসময় মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের নগ্ন হস্তক্ষেপের সমালোচনা করে বলেন, আরব অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাÐ ও আরব দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপের কারণে আমরা নতুন করে জোরালোভাবে ইরানের নিন্দা জানাই।
বাদশাহ সালমান পূর্ব জেরুসালেমে ইসলামিক হেরিটেজ ব্যবস্থাপনার জন্য ১৫ কোটি ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া সউদী আরব ফিলিস্তিন বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডবিøউএ কর্মসূচির জন্য আরো ৫ কোটি ডলার অনুদান দেবেন বলে জানান।
ইয়েমেন ইস্যু নিয়েও কথা বলেন সউদী বাদশা। তিনি বলেন, আরব বিশ্বের এই গরীব দেশটির স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা প্রয়োজন। সেখানে রাজনৈতিক সমাধানে আগ্রহী তারা। তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে আহŸান জানাই ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে যেন মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয় তারা। ইয়েমেনের এই সঙ্কটের জন্য ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের দায়ী করেন সউদী বাদশাহ। তিনি বলেন, ‘ইয়েমেনের যুদ্ধ ও মানবিক সঙ্কটের জন্য হুথি বিদ্রোহীরাই দায়ী। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।