Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের কাছে বিমানবাহী রণতরীর আধিপত্য হারাচ্ছে ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

এক মাস বা তার কাছাকাছি সময়ের মধ্যে, পরিকল্পিত সময়ের চেয়ে অনেক আগে, চীন তার দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরীর সামুদ্রিক পরীক্ষা (সি-ট্রায়াল) শুরু করছে। একই সঙ্গে দেশটি অতিকায় পারমাণিক-শক্তিচালিত আরেকটি বিমানবাহী রণতরী নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে দ্রুতবেগে এগিয়ে যাচ্ছে। এসব তৎপরতার কারণে আগামী দিনগুলোতে এশিয়ার বৃহৎ দেশটির কাছে সমুদ্রবক্ষে ভারতের এতদিনের আধিপত্য হারানোর সত্যিকারের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ভারতের হাতে এখন শুধু ৪৪,৪০০ টনের বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিμমাদিত্য রয়েছে। এটিও আবার পুরনো, রাশিয়ার কাছ থেকে ২.৩৩ বিলিয়ন ডলারে কেনা। রাশিয়ার এডমিরাল গ্রোশকভকে নতুন নাম দিয়ে ২০১৩ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হয়।
সূত্র জানায়, আরেকটি ৪০,০০০ টনের বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিভ্রান্ত এখন কোচিন শিপইয়ার্ডে নির্মাণাধীন। পরিকল্পিত সময়ের চেয়ে বেশ বিলম্ব ঘটছে এর নির্মাণ কাজে। বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২০ সালের অক্টোবর নাগাদ এর সি-ট্রায়াল শুরু করার কথা রয়েছে। এভিয়েশন কমপ্লেক্স ও দূর পাল্লার স্যাম ক্ষেপনাস্ত্রসহ পুরোপুরি অপারেশনাল হতে এর কম করে হলেও ২০২৩ সাল লেগে যাবে। ২০০৩ সালে সরকার এই রণতরী নির্মাণের জন্য প্রথম অর্থ বরাদ্দ করে। এখন এর মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯,৩৪১ কোটি রুপি।
বাস্তব পরিস্থিতি আরো করুণ। আইএনএস ভিসাল নামে যে ৬৫,০০০ টনি বিমানবাহী রণতরী নির্মাণের স্বপড়ব দেখা হয়েছিলো রাজনৈতিক-আমালাতান্ত্রিক জটিলতায় তা এখনো স্বপড়বই রয়ে গেছে। নৌবাহিনী ২০১৫ সালে এই প্রকল্প নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে ডিফেন্স এক্যুইজিশন কাউন্সিলে এগিয়ে গেলেও এখন গতি মন্থর।
পারমাণবিক শক্তিশালিত আইএনএস বিভ্রান্ত চেয়েছিলো ভারতীয় নৌ বাহিনী। এতে খরচ যেমন কম হতো তেমনি দীর্ঘদিন সমুদ্রে ভেসে থাকার উপযোগি হতো এটি। এখন রণতরীটিতে জঙ্গিবিমান ও ভারি নজরদারি বিমান ওঠা-নামার জন্য এখন থাকছে ক্যাটোবার (ক্যাটাপুলেট এসিসটেড টেক-অফ বা এরেসটেড রিকভারি) কনফিগারেশন। পাশাপাশি এর ডেকে আর্লি ওয়ার্নিং এন্ড ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেমও থাকছে। এখন পর্যন্ত রণতরীতে জঙ্গি বিমান ওঠা-নামার জন্য এঙ্গেলড স্কাই-জাম্পস পদ্ধতি (স্টবার অপারেশন) অনুসরণ করা হচ্ছে।
নৌবাহিনীর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, সরকারের অনুমোদনের পর একটি বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ শেষ করতে ভারতের এক দশকের বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। অথচ চীন ভয়ংকর গতিতে এসব রণতরী নির্মাণ করে চলেছে। দেশটি ছয়টি ক্যারিয়ার স্টাইক গ্রুপ তৈরি করতে চাচ্ছে। এগুলোর অন্তত দুটি হবে পারমাণবিক শক্তি-চালিত।
২০১২ সালে চীন তার প্রথম ৬৫,০০০ টনি বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং নৌবাহিনীতে যুক্ত করে। শিগগিরই দেশটি নিজস্ব নির্মিত টাইপ-০০১এ রণতরীর সি-ট্রায়াল শুরু করছে। আগামী বছরেই এটি নৌবাহিনীতে সংযুক্ত করার কথা রয়েছে।
ওই ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, এটি শুধু স্টবার অপারেশনের উপযোগী করে তৈরি। কিন্তু তাদের ভবিষ্যৎ রণতরীগুলোতে ক্যাটোবার অপারেশন যুক্ত হতে পারে এবং সেগুলো হবে পারমাণবিক শক্তি চালিত। আকারের দিক দিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের সমপর্যায়ের হতে পারে সেগুলো। সূত্র : এসএএম।



 

Show all comments
  • rakib ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ৫:১৫ এএম says : 0
    CONGRATULATIONS !! GO HEAD CHINA !!!
    Total Reply(0) Reply
  • saif ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ৯:৫০ এএম says : 0
    সাধুবাদ, স্বাধীনতার পূর্বে যেমন চায়নাই এগিয়ে এশেছিল ভারতের হামলার জবাবে, ঠিক তেমনি এখন ও চায়ানাই আমাদের অনেক বড় বন্ধু, যদিও শার্থের দিক সবাই দেখে তবুও নোংরা ইন্ডিয়ানদের মত নয়।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিমানবাহী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ