বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের কে কত আসন পাবে, সেটি বৈঠকে আলাপ-আলোচনা করে নির্ধারণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনের রঙিন খোয়াব বাতাসে উবে গেছে। বিএনপি শুধু খোয়াব দেখবে, আন্দোলন হবে না।
আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনে গিয়ে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন পুরোপুরি নির্বাচনের আমেজে (মুডে)। দুটি সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন হচ্ছে। মানে দুই বিভাগের ভোটাররা এর সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন। এরপরে আরও পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, সেমিফাইনাল চলছে (নির্বাচনের)—এখন আর আন্দোলনে কাজ হবে না।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জোট সঙ্গী জাতীয় পার্টি। গতকাল রোববার রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেন, ‘হাসিনার কথা ছাড়া এখন কিছু নড়ে না। একদলীয় শাসন চাই না, জনগণের শাসন চাই। দুঃশাসনের বেড়াজাল ভেঙে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এবার সেই সুযোগ এসেছে।’ জাতীয় নির্বাচনে দলের আসন বাড়ানোর বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
এ বিষয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কে কত আসন পাবে, সেটি বৈঠকে আলাপ-আলোচনা হবে। এসব বিষয় প্রকাশ্যে না বলাই ভালো। জোটের শরিক বলে ইচ্ছা মতো আসন চাইবে, এটা হতে পারে না। যেখানে যেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা জয়ী হওয়ার মতো থাকবেন, সেখানে অবশ্যই মনোনয়ন পাবেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগসহ জোটের সবার ক্ষেত্রে জয়ী হওয়ার মতো প্রার্থী ছাড়া কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট থাকবে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জোট হবে কিনা সেটি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। বসাবসি শুরু হয়ে যাবে। জেতার মতো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’ সরকার গঠনের সময় মন্ত্রী দেওয়া না দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দেবেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনের সময় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেল থামিয়ে চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় বিকাশ পরিবহন নামের একটি বাসের যাত্রীরা মন্ত্রীর কাছে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেন। যাত্রীরা বলেন, বাসটি সরকার নির্ধারিত ৩২ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ৫০ টাকা। এ সময় মন্ত্রী বাসটি আটকের জন্য বিআরটিএর লোকজনকে নির্দেশ দেন। যদিও যাত্রী থাকার কারণে বাসটি ছেড়ে দেওয়া হয়। বাসের নম্বরের সাহায্যে বিআরটিএ পরবর্তীতে বাস মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করবে বলেও ওবায়দুল কাদের জানান।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নিজেই ঢাকা শহরের গণপরিবহন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, শহরের লক্কড়-ঝক্কর গাড়ির কারণে বিদেশিদের কাছে লজ্জা পেতে হয়। এ ছাড়া গাড়ির সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি মালিক-শ্রমিক নেতাদের কাছে গাড়ির চালকদের কাউন্সেলিং করার জন্য অনুরোধ করেন। যদিও শহরে গাড়ির ফিটনেস এবং চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব মন্ত্রী কাদেরের নিয়ন্ত্রণাধীন মন্ত্রণালয়ের।
আজ সকাল সাড়ে সাতটা থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-২ মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের ৪০টি গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাস এবং মোটরসাইকেল আছে। ৪০টি গাড়িকে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।