Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উদ্বোধনের সাড়ে তিন বছরেও আসন বরাদ্দ পায়নি শিক্ষার্থীরা

চবির শেখ হাসিনা হল

মীর রাসেল, চবি থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের জননেত্রী শেখ হাসিনা হল উদ্বোধনের সাড়ে তিন বছর পার হলেও দেওয়া হয়নি শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ। ছাত্রীদের অন্য তিনটি হলে রয়েছে চরম আবাসন সঙ্কট। তাই এবার অন্য হলগুলোর সাথে শেখ হাসিনা হলেরও আসন বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা হল একযোগে উদ্বোধন করেন।
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী নিশাত নাওয়াল রাফা বলেন, ৪ জনের কক্ষে আমরা ৬ জন করে থাকি। গণরুমগুলোতে এক কক্ষে ১০-১৫ জন করে থাকছেন। শেখ হাসিনা হলে আমাদের মূল আসন। অন্য হলগুলোতে আমরা থাকছি অতিথি হিসেবে। এজন্য আমাদের সমস্যার কথাও কেউ শোনেন না। সম্প্রতি বিশ^বিদ্যালয়ের অন্য হলগুলোতে আসন বরাদ্দের নোটিস দেওয়া হয়েছে। তবে এবারও শেখ হাসিনা হলে অসন বরাদ্দের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি প্রশাসন। হলের দুই বøকের কাজ শেষ হয়েছে প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি যেন এই দুই ব্লকে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৯৮ হাজার ৫০০ বর্গফুটের চার তলা বিশিষ্ট জননেত্রী শেখ হাসিনা হলটি প্রথমে ৫০০ আসন বিশিষ্ট করা হয়। হলটিতে বিউটি পার্লার, মিনি সুইমিংপুল, দুটি লিফট, দুই হাজার বর্গফুটের পাঠাগার, কমন রুম, লন্ড্রি, ইনডোর গেমসের সুবিধাসহ রয়েছে ছাত্রীদের জন্য রান্নাঘর ও ইবাদত কক্ষ। এর প্রাথমিক ব্যায় ধরা হয়েছিল ১৫ কোটি ৭৫ লাখ ২ হাজার টাকা। কিন্তু দেড় বছর পর ২০১৭ সালের মে মাস থেকে হলের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ শুরু করা হয়। এটি বর্তমানে ছয় তলা ভবন হচ্ছে এবং আসন সংখ্য ৭৫০ টি। যার নির্মাণ ব্যয় গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৫০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। বর্তমানে হলের মূল দুই বøকের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
বিশ^বিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ হোসেন বলেন, হলের মূল অংশের কাজ প্রয় শেষ। আমরা হয়ত আর ৭ দিনের মধ্যে এ কাজ শেষ করতে পারব। হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বলেন, হলের মূল অংশের কাজ প্রায় শেষ। মেয়েদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা একটু সময় নিচ্ছি। তবে কতৃপক্ষ আমাকে অনুমতি দিলে আমি আসন বরাদ্দ দিতে পারব।
ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বেশ কয়েকবার নকশা পরিবর্তনের কারণে কাজ শেষ হতে বিলম্বিত হয়েছে। তবে একমাসের মধ্যে সকল কাজ শেষ করতে আমি নির্দেশ দিয়েছি। কাজ শেষ হলে দ্রুতই আসন বরাদ্দ পাবে শিক্ষার্থীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ