পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালেক মল্লিক : সারাদেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচন আগামী ১৪ মে। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনসহ দেশের জেলা সদর ও উপজেলা সদরের দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গন ও বাজিতপুরের কেন্দ্র ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা নির্বাচনে অংশ নিবেন। নিজ দলের আইনজীবীদের পক্ষে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন সিনিয়র আইনজীবীরা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের মধ্যে এক ধরনের নির্বাচনী আমেজও বিরাজ করছে। উভয় দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাও নজর রাখছেন বার কাউন্সিলের নির্বাচন নিয়ে। তবে কাদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১৪ মে পর্যন্ত।
এদিকে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ঢাকা বারের নির্বাচনে ব্যাপকভাবে ভরাডুবির পর বার কাউন্সিলের নির্বাচন ঘুরে দাড়াতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীর। অপরদিকে বিএনপির আইনজীবীরা বার কাউন্সিলের নির্বাচনে সবকটি পদে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
সূত্রে জানা যায়, প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বার কাউন্সিল ১৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। আর বাকী ১৪ জন আইনজীবীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। ১৪ জনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে সনদপ্রাপ্ত আইনজীবীদের ভোটে সাধারণ আসনে ৭ জন এবং দেশের ৭টি অঞ্চলের লোকাল আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে ৭ জন নির্বাচিত হবেন। ৪৩ হাজার ৭১৩ জন আইনজীবী তিন বছরের জন্য এই নির্বাচনে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। নির্বাচন সংক্রান্ত আপত্তি শুনানির জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দেয়া হয়েছে। এ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হলেন-বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম। বাকি দু’জন মেম্বার হলেন-বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও অ্যাডভোকেট মোঃ ওজিউল্ল্যাহ।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে মোট ৬২ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ১৮ এপ্রিল। ভোটগ্রহণ ১৪ মে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আইনজীবীরা তাদের নিজ নিজ প্যানেল চ’ড়ান্ত করতে দলের শীর্য পর্যায়ের নেতাদের সাথে একাধিক বৈঠক বসেন। প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা গণভবনে আওয়ামী লীগের ১০ সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়ে তাদের প্যানেল চ’ড়ান্ত করেন দেন। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও বিএনপি‘র সিনিয়র নেতারো তাদের প্যানেল চ’ড়ান্ত করেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্যানেলভুক্ত নেতারা হলেন, বার কাউন্সিলের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সৈয়দ রেজাউর রহমান, জেড আই খান পান্না, পরিমল চন্দ্র গুহ ও শ ম রেজাউল করীম। এই সাতজন সাধারণ সদস্য পদে লড়বেন। আর সাতটি আঞ্চলিক সদস্য পদে আছেন, এ গ্রæপ থেকে কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, বি গ্রæপ থেকে মো. কবির উদ্দিন ভূঁইয়া, সি গ্রæপ থেকে ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, ডি গ্রæপ থেকে এ এফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী, ই গ্রæপ থেকে পারভেজ আলম খান, এফ গ্রæপ থেকে মো. ইয়াহিয়া ও জি গ্রæপ থেকে মো. রেজাউল করিম। এদিকে বিএনপি সমর্থক আইনজীবী প্যানেলের সাধারণ সদস্য প্রার্থীরা হলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ফজলুর রহমান, তৈমূর আলম খন্দকার, বোরহানউদ্দিন, হেলালউদ্দিন মোল্লা, মো. আব্বাস উদ্দিন ও আসিফা আশরাফী পাপিয়া। আর অঞ্চলভিত্তিক সদস্য পদে এ গ্রæপ থেকে মো. মহসীন মিয়া, বি গ্রæপ থেকে বাধন কুমার গোস্বামী, সি গ্রæপ থেকে শেখ মোখলেসুর রহমান, ডি গ্রæপ থেকে মো. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, ই গ্রæপ থেকে এস আর ফারুক ও এফ গ্রæপ থেকে মো. ইসহাককে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৪ মে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে স্থাপিত ভোট কেন্দ্র, দেশের জেলা সদরের সকল দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গনে স্থাপিত ভোটকেন্দ্র এবং বাজিতপুরসহ দেশের ১২ উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি আদালত অঙ্গণের ভোটকেন্দ্রে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বার কাউন্সিল ১৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। আর বাকী ১৪ জন আইনজীবীদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। ১৪ জনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সাধারণ আসনে ৭ জন এবং দেশের ৭টি অঞ্চলের লোকাল আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে ৭ জন নির্বাচিত হবেন। ৭টি অঞ্চল হলো- সাবেক বৃহত্তর ঢাকা জেলার সকল আইনজীবী সমিতি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর জেলার আইনজীবী সমিতি, বৃহত্তর চট্রগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার আইনজীবী সমিতি,বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা ও সিলেট জেলা অঞ্চলের আইনজীবী সমিতি, বৃহত্তর খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের আইনজীবী সমিতি, বৃহত্তর রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের আইনজীবী সমিতি এবং বৃহত্তর দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া ও পাবনা জেলার আইনজীবী সমিতি। আওয়ামী লীগের কয়েকজন আইনজীবী ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, ঢাকা বার, সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনের পরাজয়ের পর আমরা ঐক্যভাবে কাজ করছি। যাতে বার কাউন্সিলের নির্বাচনে আমাদের প্রাথীরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হতে পারি। বিএনপি পন্থী কয়েকজন আইনজীবীও জানিয়েছেন, তারা বার কাউন্সিলের নির্বাচনে বিজয়ী হবেন। ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।