বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের পূর্বপাশ ঘেষে ভাড়াটিয়া বসিত এক পুত্র সন্তানের জননী রিক্তা বেগম (২২) গত সোমবার দিবাগত রাতে স্বামীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপতাালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে মারা গেছেন। পাষন্ড স্বামী শিশু সন্তান রাহুল (৪) এর সামনে ধারালো ছুরা দিয়ে স্ত্রীর তলপেটে গুরুতর জখম করে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে উঁধাও হয়েছে। ঘাতক স্বামী হলো-কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার খরিবোনা গ্রামের ইব্রাহিম দর্জির ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫)। আর নিহত রিক্তা বেগম পার্শ্ববতী সদরপুর উপজেলার খেজুর তলা নামক গ্রামের কালাম মোল্যার মেয়ে। প্রায় ছয় বছর আগে বিয়ের পর থেকে বখাটে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে মাত্র ক’দিন আগে স্বামী আলমগীর হোসেনকে তালাক দিয়ে রিক্তা বেগম সদরপুর উপজেলার বাবুরচর খালাশী ডাঙ্গী গ্রামের আলী আহমেদের পূত্র শাহ জালাল (৩৬) কে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরই জের ধরে আগের স্বামী আলমগীর হোসেন উপজেলা সদরের ভাড়া বাড়ীতে গোপনে এসে হিংসাতœকভাবে স্ত্রীর তলপেটে ছোরা মেরে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাম প্রসাদ ভক্ত তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করেছেন এবং একটি মামলা প্রক্রীয়াধীন রয়েছে।
জানা যায়, গত ৮ মার্চ রিক্তা বেগম নতুন বর ও আগের সংসারের এক ছেলে রাহুলকে নিয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে ইউসুপ বাছারের ভাড়া বাড়ীতে বসবাস শুরু করেন। ঘটনার রাতে রিক্তা বেগমের বর্তমান স্বামী শাহজালাল সদরপুর উপজেলা বাজারে জান্নাত সুইং নামক কাপড় ও পোষাক তৈরী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। এ সময় রিক্তা বেগম তার শিশু ছেলেকে নিয়ে ভাড়া বাড়ীতে অবস্থান করছিল। রাতে ঔষধ কিনার জন্য রিক্তা বেগম ঘর থেকে বের হলেই আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা পূর্বের স্বামী আলমগীর হোসেন তাকে তুলে নেওয়ার জন্য টানাটানি করার এক পর্যায়ে ধারালো ছোরা মেরে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।