রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নদী মাতৃক দেশ আমাদের বাংলাদেশ। শত শত নদী হারিয়ে গেছে, কলের গর্ভে দখল হয়ে গেছে বিভিন্ন নামের নদী। তেমনি, পুঠিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই সন্ধ্যা নদী। নদীটি কোথাও সমান্য পানি রয়েছে কোথাও কোথাও ভরাট হয়ে গেছে। বর্তমানে নদীটির পাড়সহ পাড় সংলগ্ন ভটার জায়গা গুলি দখলদাররা দখর করে নিয়েছে।
অনেকে আবার নিজ নামে রেকর্ড করে নেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখলদারেরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোন সুফল পাওয়া যায়নি বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছে। এক সময় এই নদীটি গতিপথ সঠিক ভাবে প্রবাহিত হতো। সেসময় এলাকার চাষীরা চাষবাদের প্রয়োজনীয় সেচের পানি এই নদী থেকে মিটিয়ে থাকতো। সে অবস্থা বর্তমানে নাই। নদীটি দখল ও ভরাট হওয়ার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পুঠিয়া উপজেলা বরেন্দ্র অফিস সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা নদী নারদ নদীর একটি শাখা নদী। নারদ নদী ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। দখল হওয়া নারদ নদী বর্তমানে উদ্ধার করেছে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। নারদ নদীটি বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে খননের মাধ্যমে সেচ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সন্ধ্যা নদীর উৎসমুখ পুঠিয়া উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের বাগিচা পাড়া থেকে শুরু হয়ে পুঠিয়ার শিবপুর বাজারের পাশ দিয়ে বাঁশপুকুরিয়া, নন্দনপুর হয়ে উপজেলার কান্তার বিলে পড়েছে। নদীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ কিলোমিটার। পুঠিয়ার যতো নদনদী আছে, পুরাতন রেকর্ডে প্রধান নদী হিসেবে হোজা নদীর নাম পাওয়া যায়। এই নদীর শাখা প্রশাখা বের হয়ে একেক জায়গায় একেক ধারনের নাম ধরান করেছে। সন্ধ্যা নদীটিও এমনই একটি নারদের উল্লেখযোগ্য শাখা নদী। বাঁশপুকুরিয়া গ্রামের মোঃ জালাল হাজী ও দোমাদি গ্রামের এনামুল হক বলেন, দিন দিন বেদখল হয়ে যাচ্ছে আমাদের গর্বের এই সন্ধ্যা নদীটি।
এক সময় এই নদী দিয়ে পাল তোলা নৌকা বয়ে যেত। এ অঞ্চলের মানুষেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য হাটে বাজারে বিক্রির জন্য এই নদী দিয়ে সহজে যাতায়াত করতো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুঠিয়া উপজেলা বরেন্দ্র অফিসের প্রকৌশলী সেলিম রেজা বলেন, আপাতত সন্ধ্যা নদী নিয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। নারদ প্রকল্পর কাজ এখনো শতভাগ শেষ হয়নি। কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে বিষয়টা উপর মহলে জানানো হবে। তা ছাড়া যতো খাল,বিল,নদী,নালা প্রায় সবগুলোই আস্তে আস্তে খনন করে কৃষকের জন্য সেচের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধ পরিকর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।