Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা আনার প্রতিশ্রুতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় এক শীর্ষ বৈঠকের পর দেওয়া এক যৌথবিবৃতিতে এ প্রতিশ্রুতি দেন দেশ তিনটির নেতা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় মাটি শান্ত করতে উদ্যোগ ত্বরান্বিত করবো আমরা। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তাইয়্পি এরদোগান ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ওই বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, সিরিয়ার পরিস্থিতির উন্নতি দেখিয়েছে, সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের নিজেদের স্বার্থ বজার রাখার জন্য তারা নিরাপত্তাহীনতায় ইন্ধন যোগাতে চেয়েছিল, কিন্তু কোনো সাফল্যই পায়নি তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের ‘শিগগির’ ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও তারা ‘সিরিয়ায় থেকে যাবে’ বলে তিনি বিশ্বাস করেন বলেও জানিয়েছেন রুহানি। কুর্দি এবং আরব মিলিশিয়াদের সম্মিলিত বাহিনী ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স’ (এসডিএফ) জোটের সমর্থনে প্রায় ২ হাজার মার্কিন সেনা সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে মোতায়েন আছে। ট্রাম্প গত সপ্তাহে তাদের শিগগির সরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন। কিন্তু উপদেষ্টাদের পরামর্শে ও নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এরই মধ্যে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সিরিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সেনা রাখতে রাজি হয়েছেন বলে খবর হয়েছে। রাশিয়া, ইরান ও তুরস্ক সিরিয়ায় একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত জানালেও সিরিয়ায় তাদের সামরিক বাহিনী পরস্পর বিরুদ্ধ পক্ষকে সমর্থন দিচ্ছে। ইরান ও রাশিয়া সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশারকে ব্যাপক সমর্থন দিচ্ছে, অপরদিকে তুরস্ক বাশার-বিরোধী তুরস্কপন্থি বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে। সিরিয়ায় কিছু সহিংসতা কমাতে দেশ তিনটি রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করলেও লড়াইয়ের ময়দানে তাদের এই পরস্পর বিরোধিতা রয়েই গেছে। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় জেলা আফরিন থেকে কুর্দি ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের সরিয়ে দিতে সেখানে সরাসরি সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তুরস্কের সামরিক বাহিনী। অপরদিকে ইদলিব ও ঘৌতা অঞ্চলে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর অভিযানে সরাসরি সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়ার বিমান শক্তি ও ইরানপন্থি বেসামরিক বাহিনীগুলো। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, আফরিনকে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করা উচিত বলে এরদোগান ও পুতিনকে বলেছেন রুহানি। খবরে তুলে ধরা উদ্ধৃতিতে রুহানি বলেছেন, তুরস্কের বাহিনী সিরিয়ার ভূখন্ডগত ঐক্য লঙ্ঘন না করলেই কেবল আফরিনের বর্তমান পরিস্থিতি উপকারি হয়ে উঠতে পারে। ওই এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ সিরীয় সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা উচিত। এরদোগান বলেছেন, আফরিনের পর তুরস্কের সামরিক বাহিনী তেল রিফাত শহরে তুরস্কের সীমান্ত সংলগ্ন সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলগুলোতে অভিযান চালাবে। সংবাদ সম্মেলনে পুতিন ও রুহানির পাশে বসে এরদোগান তিন পক্ষের অংশগ্রহণ সম্ভব, প্রধানত এমন বিষয়গুলো নিয়েই কথা বলেছেন। তিনি জানান, পূর্ব ঘৌতা থেকে সরে আসা আহত ও অসুস্থ বেসামরিকদের চিকিৎসার জন্য একটি মোবাইল হাসপাতাল স্থাপন করতে চায় তুরস্ক। আল-জাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিরিয়া

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ