বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লক্ষ্মীপুর থেকে মো: কাউছার : লক্ষ্মীপুর জেলা শিক্ষা অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আবুল হোসেনের দুর্নীতি সংবাদপত্রে প্রকাশের পর সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে মহা-পরিচালক, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ এবং জাতীয় দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকাসহ স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কার্যকর কোনো ব্যাবস্থা না নেয়ায় প্রতারণা ও আত্মসাতের মাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি আই সি টির সহকারী শিক্ষক ভুক্তভোগী কামাল উদ্দিন মহা-পরিচালক, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এর বরাবরে লিখিত অভিযোগে জানান, অনলাইন এমপিও করার নিয়ম চালু হওয়ার পর থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা শিক্ষা অফিসে কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আবুল হোসেন অনলাইন এমপিওভুক্তির আবেদনকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বর্তমান জেলা শিক্ষা অফিসার সরিৎকুমার চাকমার বাসা বাড়ী খাগড়াছড়ি জেলা শহরে অবস্থিত। তিনি ২-৩ দিন পর পর লক্ষ্মীপুর অফিসে আসেন। তার এ অনুপস্থিতির সুযোগে অফিসের সকল কাজ কর্ম করেন আবুল হোসেন। এ সুবাদে কম্পিউটার থেকে এমপিও আবেদনকারী শিক্ষকদের তালিকা বাহির করে বিভিন্ন কাগজের অজুহাতে অফিসে তার সাথে দেখা করার জন্য খবর দিতেন। খবর পেয়ে শিক্ষকগণ অফিসে আসলেই তাদের নিকট থেকে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন। দীর্ঘদিন এমপিও না পাওয়া শিক্ষকগণ এমপিও থেকে বাদ পড়ার ভয়ে সহজেই তার চাহিদা পূরণ করেন। জেলা শিক্ষা অফিসার সরিৎকুমার চাকমার আস্থাভাজন হওয়ার কারণে ওপড় মহলের ভয় দেখিয়ে কথায় কথায় অফিসের অন্যান্য স্টাফদেরকে বদলির হুমকি দেয় আবুল হোসন। সে ২০১৪ সালে লক্ষ্মীপুর অফিসে যোগদান করার পর থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত বাসাভাড়া না নিয়ে ওই অফিসের ৩য় তলায় একটি বড় রুম দখল করে বসবাস করে আসছেন। অথচ তার বেতন থেকে বাড়ি ভাড়া কর্তন করা হয় না। এ বিষয়ে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে অভিযোগ করেও কোনো ফল হয়নি। এ রির্পোট লেখার সময় জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। ভুক্তভোগী শিক্ষকগণ আবুল হোসেনের এমপিও বানিজ্য বন্ধসহ তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয ব্যাবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান। জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা সরিৎকুমার চাকমা জনান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।