রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : বাজারে এসেছে মৌসুমের প্রথম কাঁচা আম। হঠাৎ বাজারে কাঁচা আম দেখে ক্রেতারা অনেকটা আগ্রহভরে এগিয়ে গেলেও দাম শুনে মুহুর্তেই চোখ কপালে উঠে গেছে। এক কেজি কাঁচা আমের দাম হাঁকা হয়েছে ৩০০ টাকা। কাঁচা আমের এই মূল্য বর্তমানে ভারত থেকে আমদানিকৃত পাঁকা আমের মূল্যের চেয়েও বেশি। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার একেবারেই বাইরে। এই কাঁচা আম কিনে আনন্দ পাবেন সমাজের ভাগ্যবান ব্যক্তিরা। আর দেখে আনন্দ পাবেন সাধারণ ক্রেতারা। কাঁচা আম বাঙালি শিশু-কিশোরদের একটি লোভনীয় খাবার। পাশাপাশি বড়দেরও। বাজারে বা গাছে কাঁচা আম দেখলে সবারই খেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সবার ভাগ্যে মৌসুমের প্রথম আম জোটে না। অথচ আম প্রাচুর্যের এই বাংলাদেশে কয়েক দশক আগেও কাঁচা আম বাজারে বিক্রি হতো না। প্রায় সকলের বাড়িতেই কমবেশি আমগাছ ছিল। গাছের নিচে কাঁচা আম ঝরে পড়ে স্ত‚পিকৃত হয়ে থাকত। কেউ এসব কাঁচা আম বাজারে বিক্রি করতে নিত না। কারণ কাঁচা আমের কোনো বাজারমূল্য ছিল না। ঝরে পড়া আম তো বটেই, কারো গাছ থেকে কেউ আম পেড়ে নিলেও কেউ কিছু বলতো না। কাঁচা আমের এমনই প্রাচুর্য ছিল এই দেশের গ্রাম বাংলায়। মৌসুম এলেই শিশু-কিশোররা ‘বাঁশের লেইল’ দিয়ে কাঁচা আম ছিলিয়ে খেতো। বাজারে বেøড ছিল। বেøড দিয়ে আম ছিলতে গেলে হাত কেটে যেতো বিধায় অভিভাবকরা শিশু-কিশোরদেরকে বেøড ব্যবহার করতে দিতো না। সে সময় নদ-নদীতে প্রচুর সংখ্যক ঝিনুক পাওয়া যেতো। কিশোররা নদী থেকে ঝিনুক এনে শক্ত খোসা পাথরে ঘষে কানা করে আম ছিলিয়ে খেতো। এটা ছিল অত্যন্ত নিরাপদ। আম সহজেই ছিলানো যেতো। হাত কাটার আশংকা থাকতো না। বাংলাদেশ আমলের মধ্য ভাগ থেকে বাজারে ছোট ছোট চাকু আমদানি হতে থাকলে শিশু-কিশোররা এসব চাকু দিয়ে আম ছিলিয়ে লবণ-মরিচ দিয়ে মেখে খেত। এ ছাড়া গ্রামের কিশোরীরা শীল-নোড়াতে কাঁচা আম ছেঁচে ভর্তা বানিয়ে খেতো। গ্রামের গৃহবধূরা কাঁচা আম দা বা বটিতে চিকন করে পলে আখের গুড়, লবণ-মরিচ দিয়ে ভর্তা বানিয়ে খেতো। গ্রীষ্মের কাঠফাঁটা রোদে চাষিরা ঘর্মাক্ত দেহে মাঠ থেকে বাড়ী ফিরলে কিষাণীদের এক বাটি আমের ভর্তা কৃষকের দেহমনকে প্রশান্ত করে দিতো। এ ছাড়া দুপুরে আম দিয়ে রাধা মসুর ডাল একটি সুস্বাদু খাবার। কাঁচা আম দিয়ে গুড়া মাছের খাট্টা বাঙালীর দীর্ঘদিনের মুখরোচক খাবার। বর্তমানে কাঁচা আমের আচার খুবই জনপ্রিয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।