পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাজীপুর ও খুলনা করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল (রোববার) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলা ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন আরও বেগবান করতে এবং আসন্ন দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলা, আন্দোলন, নির্বাচন ও সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। বৈঠক থেকে আগামী ১৫ মে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কি করবে না এবং অংশগ্রহণ করলে দলের প্রার্থী কে হবেন- এসব বিষয়ই মূল আলোচনা হয়। এতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে তবে ওই দুই সিটি করপোরেশনের প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, যদিও আমরা মনে করি- বর্তমানে দেশে কোনো গণতন্ত্র নাই। নির্বাচন করার মতো কোনো পরিবেশ নাই। বিরোধী দলগুলোকে সাংবিধানিকভাবে কর্মসূচি পালনের ন্যূনতম অধিকার দেয়া হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে এ ধরনের নির্বাচন কতটুকু কার্যকরী হবে, বিরোধী দলকে কতটুকু সুযোগ দেয়া হবে সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তারপরও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখার জন্য এবং জনগণের অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ তৈরি করে দেয়ার জন্য আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে আরো বেগবান করার জন্য এই নির্বাচনকে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নেব বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রার্থী ঠিক হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রার্থী পরে ঠিক হবে। দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও স্থানীয় নেতাদের পরামর্শ নিয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করব। তিনি বলেন, বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বক্তব্য রেখেছেন। আমাদেরকে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে তিনি তার মতামত জানিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ শাজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদীন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স ও শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।