বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1719000720](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশে প্রতি বছর অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্শতি হয়। বিনষ্ট হয় মূল্যবান মালামাল । বিভিন্ন অগ্নিকান্ডে প্রতি বছর শিল্প-কারখানা, দোকানপাট, গোডাউন, আবাসিক স্থাপনা ও যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। আর অগ্নিকান্ডে গড়ে প্রতিবছর দেশে ২৩৩ জন মারা যায়। আহত হয় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। এক সংবাদ সম্শেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইএসএসএবির প্রেসিডেন্ট মো. মোতাহের হোসেন খান।
তিনি জানান, সংগঠনের পক্ষ থেকে এ বছর পঞ্চমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো-২০১৮-এর আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ৫ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এবারের প্রদর্শনীতে ৩০টি দেশের খ্যাতিমান ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এই এক্সপোতে মোট স্টল থাকবে ৬০টি। মেলার কো-পার্টনার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং এনএফপিএ। ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করবেন।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ইলেকট্রনিকস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএসএসএবি) উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আলী আহম্মেদ খান অগ্নিকান্ডের ক্ষয়ক্ষতিসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
মো. আলী আহম্মেদ খান জানান, গত ছয় বছরে সারা দেশে প্রায় ৮৮ হাজার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মারা গেছে ১ হাজার ৪০০ জন। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এসব অগ্নিকান্ডের মূল কারণ হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, দেশে সংঘটিত বেশ কয়েকটি বড় অগ্নিকান্ডের পর রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানার বেশির ভাগে অগ্নি নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন অনেক ভবন ও প্রতিষ্ঠান এখনো পিছিয়ে আছে। সম্পদ ও নিরাপত্তার স্বার্থে অগ্নি নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা সবার নৈতিক দায়িত্ব। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে প্রতিবছর স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের অন্তত দেড় লাখ কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হচ্ছে। রাজধানী ও বিভাগীয় শহরগুলোতে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ভবনের অগ্নি নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ভবন মালিককেই উদ্যোগ নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।