মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর কেশারি নাথ ত্রিপাঠি গত শনিবার সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাপূর্ণ এলাকা আসানসোল ও রানিগঞ্জ পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি ভুক্তভোগী ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু সাড়ে চার ঘণ্টার এই সফরে তিনি কোনও মুসলিম এলাকায় যাননি। মুসলিম এলাকায় না যাওয়া প্রসঙ্গে পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে কোনও জবাব দেননি গভর্নর। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য, গভর্নর যেতে চাননি। যদি চাইতেন তাহলে সেখানে নিয়ে যাওয়া কঠিন হতো। এদিকে আবারও সংঘাতের আশঙ্কা করছেন ইমাম রশিদি। শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে মওলানা ইমদাদুল রশিদির অভাবনীয় ভূমিকার কারণে আপাতভাবে আসানসোলে উত্তেজনা নিরসন হলেও এখনও গুজবের মধ্য দিয়ে ছড়ানো হচ্ছে ঘৃণার বিষ। এইসব গুজবে আবারও সম্প্রীতির আসানসোলে হিংসার আগুন জ্বলে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শহরের চেতলডাঙ্গা নদী তীরবর্তী এলাকার নুরানি মসজিদের ওই ইমাম। তাই আসানসোলবাসীকে তিনি গুজবে কান দিতে নিষেধ করেছেন। অনুসারীদের নিয়ে মাঠে নেমেছেন গুজবের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে। সাম্প্রদায়িক ঘৃণার মারণাস্ত্রে খুন হওয়া ১৬ বছরের কিশোর পুত্রের জানাযায় প্রতিশোধের বিপরীতে মাওলানা রশিদি আহ্বান জানিয়েছে বলেছেন, ‘কোনও প্রতিহিংসা নয়। প্রতিশোধ নিতে যদি কারোর মৃত্যু ঘটাও, তাহলে আমি এই শহর ছেড়ে চলে যাব। আমি তোমাদের সঙ্গে ৩০ বছর ধরে আছি, আমাকে যদি তোমরা ভালোবাসো তাহলে আর কাউকে যেন এভাবে মরতে না হয়।’ মওলানার এই তৎপরতায় আপাতভাবে শান্ত হয় আসানসোল। তবে তিনি মনে করছেন আবারও শহর অশান্ত হতে উঠতে পারে গুজবের কারণে। ‘অনেক ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে পড়ছে- এই হয়েছে, ওই হয়েছে, এখানে আক্রমণ হয়েছে, ওই বাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যখন আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে, ঠিক তখন এমন সব ভুয়া কথায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে।’ গত শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, সিবতুল্লাহর মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করেছেন তারা। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সংঘাতের মামলাতেও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। অপর এক কবরে বলা হয়, ছেলের মৃত্যুর পরেও শান্তির বার্তা ছড়ানোয় ইমাম রশিদির প্রশংসায় যুক্ত হয়েছেন ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী। ইমাম রশিদির সঙ্গে তিনি প্রশংসা করেছেন শান্তির বার্তা ছড়ানো আরেক সন্তানহারা পিতা ইয়াশপাল সাক্সেনারও। এক টুইটার পোস্টে তিনি লিখেছেন, এভাবে ভারতে ভালোবাসা চিরকাল ঘৃণাকে হারিয়ে দেবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।