Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চরফ্যাশনে সরকারি বরাদ্দের চাল পায়নি জেলেরা

চরফ্যাশন (ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চরফ্যাশন উপজেলার জেলেরা সরকারি বরাদ্দের চাল ইউপির চেয়ারম্যানদের গাফলতির জন্যে পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে সরকারি এই সহায়তা বঞ্চিত হয়ে জেলে পাড়ার অধিকাংশ পরিবার দুর্ভোগে জীবন-যাপন করছে। সরকারের অভয়াশ্রম নিষেধাজ্ঞা পালন অমান্য করে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে মাছ ধরছে। সূত্রে জানা গেছে, ভোলার ইলিশা এলাকার মেঘনা থেকে চরপিয়াল, তেতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালির চর-রুস্তম পর্যন্ত ১১০ কিলোমিটার এলাকাকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে ১ মার্চ থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস নদীতে জাল ফেলা ও সব ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য বিভাগ। চরফ্যাশন উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার নিবন্ধিত জেলে এখনও সরকারি বরাদ্দের চাল পায়নি। মৎস্য অফিসের বক্তব্য রয়েছে ভিন্ন। তাদের বক্তব্য হল স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যানগণ বরাদ্দের চাল উত্তোলন করেনি। এই জন্যে চাল বিতরণের বিলম্ব হচ্ছে।
সরেজমিন খেজুর খাছিয়া, সামরাজ, বেতুয়া, চরকচ্ছপিয়া, গাছিরখাল, ভায়রানী ,মেঘভাষান, বেড়ীবাঁধ, মৎস্য ঘাটের পরিদর্শন কালে একাধিক জেলেদের সাথে কথা হয়। তার মধ্যে আ: রহিম মাঝি জানান, কিছু জেলে আছে অবস্থা মোটমুটি ভাল বাকী জেলেদেরা দুর্ভোগ চরমে। এক মাস চলে গেছে আমরা সরকারি কোনো সহায়তা পাইনি। সঠিক সময়ে সরকারি সহায়তা দেয়ার দিকনির্দেশনা থাকলেও জপ্রতিনিধিদের বিভিন্ন অজুহতে গড়িমসি করছে। চাল না পাওয়ায় অভাব অনটনে ও ঋণের টাকার সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধের চাপে বাধ্য হয়ে নদীতে মাছ ধরছি। চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্য অফিসার বলেন, যথ দ্রæত সম্ভাব আমরা চাল বিতরণ করার চেষ্টা করব। চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, দু‘মাসের চালের ডিও ইস্যু করা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানগণের মধ্যে কেউ কেউ চাল নিচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বরাদ্দ

২৬ জানুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ