পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীতে সশস্ত্র ছিনতাইকারীরা নতুন প্যাটার্নে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ছিনতাইসহ নানা অপরাধে। ঢাকা মহানগরে একাধিক চক্র সক্রিয় থাকলেও পুলিশের হাতে একটি চক্রের ৫জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে। রাজধানীর পল্টন এলাকার গত বুধবার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে সালাম পার্টি চক্রের ৫জনকে গ্রেফতার করে পল্টন মডেল থানা-পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- জিতু (৪৯), মো. মিজান (৩৫), মো. আকতার হোসেন (৪৫), মো. রিপন (২৮) ও মো. পিন্টু মিয়া (৩১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। দ্রæত বিচার আইনে গতকাল বৃহস্পতিবার পল্টন থানায় মামলা দায়ের করার পর আদালতে হাজির করা হলে আদালত আসামীদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
পল্টন থানার ওসি মো. মাহমুদুল হক গত রাতে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সালাম দিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। এমন ভাব দেখায় যেন পূর্বপরিচিত। পরে কয়েকজন মিলে ঘিরে ধরে টাকা, মুঠোফোন ও মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নিয়ে দ্রæত কেটে পড়েন। তারা আগেও এ ধরনের অপরাধ করেছেন। স¤প্রতি ছিনতাইকারীরা সালামের মাধ্যমে নতুন কৌশল নিয়েছে। তাদের আমরা রিমান্ডের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। উদ্ধার হওয়া টাকাও আদালতের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেয়া হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, এ চক্রের সদস্যরা উন্নত মানের শার্ট, প্যান্ট, জুতা, এমনকি শীতকালে কোট-টাই পরে ঘুরে বেড়ান। বিশেষ কায়দায় তাঁরা চাকু, চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র নিজেদের প্যান্ট বা কোটের পকেটে লুকিয়ে রাখেন। যা বাইরে থেকে দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই। ভদ্রলোকের বেশ ধরে তারা দু-তিন ঘণ্টার জন্য রিকশা ভাড়া করে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে। বিশেষ করে ব্যাংক অথবা এটিএম বুথের পাশে অবস্থান নিয়ে থাকে। লক্ষ্য রাখে কে টাকা নিয়ে বের হচ্ছে। পরে ওই লোকের পিছু নেয় সালাম পার্টির সদস্যরা। মোবাইলে তাদের অপর সদস্যদেরও অবস্থান জানিয়ে দেয়। পিছু নেয়ার একপর্যায়ে সুবিধামতো জায়গায় রিকশা নিয়ে ঘোরাঘুরিকারীদের একজন সেই ব্যক্তির সামনে এসে সালাম দিয়ে বলে, ভাই কেমন আছেন? আপনি অমুক না? এরই মধ্যে চক্রটির ছদ্মবেশী আরও কয়েকজন রিকশাটিকে ঘিরে ফেলে। নিজেরা নিজেদের গায়ে ধাক্কা দিয়ে তা না হলে অন্য কোনোভাবে আগে থেকে লক্ষ্য রাখা ব্যক্তির আশপাশে একটা জটলা তৈরি করে। এই সুযোগে অন্য সহযোগীরা পকেটে হাত ঢুকিয়ে যা পায় নিয়ে সটকে পড়ে। ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এ ধরনের বেশ কয়েকটি চক্র রাজধানীর বিভিণœ এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। ছিনতাইকারীরা গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে এবং সাধারন মানুষকে ধোকা দিতে এ ধরনের কৌশল নিয়েছে। এ ধরনের অন্যান্য চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে ঢাকা মহানগর পুলিশ সক্রিয় রয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।