Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নান্দাইলে পল্লী বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নান্দাইল আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাধীন নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের কচুরী জলইগাতী, কচুরী কন্ডপপুর গ্রামে গ্রামীণ বিদ্যুৎতায়নের জন্য নান্দাইলের সংসদ সদস্যের ডি.ও লেটার প্রদান পূর্বক বিদ্যুৎ লাইন মঞ্জুরী পায়। এ সুযোগটাকে ব্যবহার করে কিশোরগঞ্জ উপজেলার হোসেনপুর এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ এর পরিচালক হাফিজুল হক (মোফাজ্জল) উক্ত গ্রামের ২২৭ জন আবাসিক গ্রাহক ও ডিপটিউবওয়েলের লাইন সংযোগের নামে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তি আব্দুল হেকিম, পিতামৃত জাবেদ আলী মুন্সী, মোঃ মাসুম মিয়া, পিতা হাজী আক্কাছ আলী ভূইয়া মোঃ শামছুল আলম শামীম মেম্বার ও মোছাঃ রেনুয়ারা আক্তার খাতুনের উপস্থিতিতে প্রথম পর্য্যায় ২০১৫ সনের ০২ জানুয়ারী মাস ২০১৬ সনের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিনড়ব সর্বমোট ৯ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা দেয়ার পর বিদ্যুৎ লাইন নির্মিত হয়। লাইন নির্মিত হওয়ার পর উক্ত পরিচালককে ওয়ারিংসহ বাকি কার্যক্রম সম্পনড়ব করার কথা বললে বিভিনড়ব সময় ও তারিখ দিয়ে প্রায় ১ বছর পর বলেন, লাইন নির্মানের কাজ শেষ হয়েছে বাকি আরো ৮৫০০ টাকা করে প্রতি গ্রাহককে দিতে বলেন, যার পরিমান ১৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৫ শত টাকা। এ টাকা পরিশোধ না করলে ওয়ারিং করতে পারবেনা বলে জানান। বাদী তার অভিযোগে জানান, এত টাকা পরিশোধ করতে না পেরে গ্রাহকরা নিজনিজ উদ্যোগে ওয়ারিং সহ জামানতের টাকা জমা প্রদান করেন। অভিযোগকারীদের পক্ষে হাজী আক্কাছ আলী ভূইয়া ক্ষোভের সঙ্গে জানান, হোসেনপুরের এলাকা পরিচালক তার চাচাত বোন জামাই হওয়া সত্তে¡ও তার দুনীতির হাত থেকে রেহাই পেলাম না। এ ব্যাপারে ১০৯ জন গ্রাহক বাদী হয়ে পল্লী বিদ্যুৎতায়নের চেয়ারম্যানসহ সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর গত ২২ মার্চ একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে নান্দাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহা ব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মোঃ মোখলেছুর রহমান সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লাইন নির্মানের বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের কাজ ঠিকাদারের মাধ্যমে তা সম্পনড়ব হয়ে থাকে। এখানে টাকা লেনদেনের সুযোগ নেই। কেউ যদি পল্লী বিদ্যুৎ এর নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নেয় সেটা আমাদের কিছু করনীয় নেই। হোসেনপুরের পরিচালকে মোবাইল ফোনে প্রশড়ব করলে তিনি বলেন, আমি টাকা নেইনি আমার প্রতিবেশী চাচা রিপন, পিতা মোসলেম উদ্দিন সাকিন পুমদি তার নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নিয়েছে বলে শুনেছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ