Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমের মুকুলে ভরে গেছে গাবতলী

| প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

গাবতলী (বগুড়া) থেকে আল আমিন মন্ডল : আগে থেকেই গাবতলীর আমের বেশ কদর রয়েছে। ফলে উপজেলায় সর্বত্র গাছে গাছে শুধু আমের মুকুল। এ বছরে আমের বাম্পার ফলন আশা করছে কৃষি বিভাগ। বাতাসে মুকুলের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। সে সুবাদে মৌমাছি মধু সংগ্রহে পুরোদমে আনাগোনা শুরু করেছে। তেমনি নতুন বর্নিল সাজে সেজেছে আম বাগানগুলো। মৌ মৌ গন্ধে মানুষের মনকে বিমোহিত করছে। আমের মুকুলগুলো জানিছে দিচ্ছে মধুর মাসের বার্তা।
উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, আম বাগানগুলোতে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। গাছ আর ডাল কোথাও জেন ফাঁকা নেই। ইতিমধ্যে কিছু সংখ্যক গাছে আমের গুটি আসতে শুরু করেছে। মুকুলগুলো হলুদ আর সবুজ বর্ন দেখে জেন মন জুড়িয়ে যায়। ফলে চারিদিকে ছড়াচ্ছে আমের মুকুলের সুবাসিত ঘ্রাণ। তবে বিভিন্ন রোগ ও আবহাওয়া উপর নির্ভর করছে আমের ফলন ও উৎপাদন। প্রতিকুল আবহাওয়া ও ঝড়বৃষ্টি না হলে এবছরে আমের বাম্পার ফলন হবে। তবে এ মৌসুমে আম বাগানে ছোট ও মাঝারি গাছে বেশি মুকুল এসেছে বলে জানা যায়। আমের গাছ আর ফুলের মৌ মৌ গন্ধে আম বাগান মালিকদের চোখে এখন লাভবান হওয়ার স্বপ্ন ও সুখের বাতাস বইছে। এখন প্রায় সকল আদর্শ কৃষকের জমিতে ফজলি, ক্ষিরসা, মোহনা, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, রাজভোগ, বউভোলানি ও আম্রুপালি আম গাছ রয়েছে। কেউ কেউ উন্নতমানের আম গাছের বাগান করেছে। ইতিমধ্যে সে সব গাছে মুকুল থেকে গুটি আসতে শুরু করেছে। কাগইল এলাকার আম বাগান মালিক আব্দুর রহিম মন্ডল জানান, এ বছরে বাগানের প্রতিটি আম গাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। ভাল ফলন আশা করছি। এছাড়াও মুকুল আসার পর থেকে পরিচর্যা করছি। মুকুল ও আম’কে রোগ বালাই থেকে রক্ষা করতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে নিয়মিত ঔষুধ স্প্রে করছি।রামেশ্বরপুর হোসেনপুর গ্রামের আম বাগান মালিক ময়নুল ইসলাম সেন্টু জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের ভাল ফলন হবে। এখন আমি সবসময় আমগাছের পরিচর্যা করছি। এক সময় ছিল চাষিরা দেশের বিভিন্ন স্থনথেকে নিজ উদ্যোগে উন্নতজাতের আমের চারা গাছ সংগ্রহ করতো।
গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহেল মোঃ শামসুদ্দীন ফিরোজ বিসিএস (কৃষি) জানান, এ বছরে গাবতলীতে আমগাছে ব্যাপক মুকুল এসেছে। চলতি মাসের শেষের দিকে আমের গুটি হতে শুরু হবে। ভাল মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছরে আমের বাম্পার ফলন হবে।
সদর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ মৌসুমে ১৫দিন পরে মুকুল এলেও ফলন ভাল হবে। প্রতিবছরে আমের ভাল ফলন হওয়ায় কৃষক দিনদিন বাণিজ্যিক ভাবে কৃষক আম চাষ করছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আম

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ