Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ

মার্কিন পণ্যে নতুন তিনশ’কোটি ডলার শুল্কারোপের হুমকি চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১৮ এএম, ২৪ মার্চ, ২০১৮

বাণিজ্য যুদ্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। আর এই যুদ্ধের প্রথম কামানটি গত বৃহস্পতিবার দেগেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি চীন থেকে আমদানিকৃত প্রায় ১০০টি পণ্যের উপর ৬০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আদায়ের পরিকল্পনায় সই করেছেন। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক খাতে পুঁজি বিনিয়োগকারী চীনা পুঁজিপতিদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছেন ট্রাম্প। এদিকে চীন পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ওয়াশিংটন দ্রুত সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে বেইজিং। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার পাল্টায় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পণ্যের ওপর নতুন করে তিনশ’ কোটি ডলার শুল্ক আরোপের চিন্তা করছে বেইজিং। যেসব পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের চিন্তা চলছে তার মধ্যে শূকরের মাংস, ওয়াইন, ফলমূল, স্টেইনলেস স্টিল পাইপের মত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও হার্ডওয়ার পণ্যসামগ্রী আছে। যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে ‘বিপজ্জনক স্থানে’ নিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে এ ধরনের পদক্ষেপ এড়াতে বেইজিং অনুরোধ জানিয়েছে বলেও খবর বিবিসির। ওয়াশিংটন ‘বাণিজ্য যুদ্ধের কিনারা’ থেকে সরে আসবে বলেও আশাবাদ চীনের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে মেধাস্বত্ব চুরির অপরাধে চীনকে এই শাস্তি দেওয়া হলো। বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে যেসব বাণিজ্য সংক্রান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটি তার মধ্যে অন্যতম। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ব্যাপক পরিমাণে মেধাস্বত্ব চুরির ঘটনা অব্যাহত আছে। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, যেসব চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা সম্ভব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তার তালিকা তৈরি করতে হবে। এছাড়া যেসব চীনা পুঁজিপতিদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা যেতে পারে তাদের তালিকা তৈরি করতে অর্থমন্ত্রী স্টিভেন এমনাচিনকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে ৩৭৫ বিলিয়ন ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের বিশ্বের ইতিহাসে যে কোনো দেশের জন্য এটা অনেক বড় ঘাটতি। এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’ অপরদিকে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর থেকে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করা না হলে মার্কিন পণ্য শূকরের মাংস, আপেল ও ইস্পাতের পাইপের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করবে বেইজিং। ওয়াশিংটনের দাবি, তারা তদন্তে দেখেছে, অবাধ বাণিজ্যের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করে না চীন। যে সব মার্কিন সংস্থা তাদের দেশে ব্যবসা বা বিনিয়োগ করে, মেধাস্বত্ব সুরক্ষিত রাখার নিয়ম ভেঙে এবং চাপ খাটিয়ে এশীয় দেশটি হাতিয়ে নেয় তাদের প্রযুক্তি। যা সরকারি চোখরাঙানিতে প্রযুক্তি চুরিই। তারা অভিযোগের আঙুল তুলেছে চীনের উঁচু শুল্ক-প্রাচীরের দিকেও। আর এই সব কারণেই ৬ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে চড়া শুল্কের প্রস্তাব। চীনের কটাক্ষ, অবাধ বাণিজ্যে তো দেওয়াল তুলছে ট্রাম্পের আমেরিকাই! বিশ্ব অর্থনীতির দুই মহাশক্তির এই যুদ্ধে তাই কাঁপুনি বাজার ও কর্পোরেট দুনিয়ায়। হবে না-ই বা কেন? ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ৭ হাজার বোয়িং বিমানের বরাত দিয়েছে তো শুধু চীনা সংস্থাই। পুরোদস্তুর যুদ্ধ বাধলে, তাই প্রভাব সর্বগ্রাসী হওয়ারই সম্ভাবনা। অনেকে বলছেন, ক্ষতি এত মারাত্মক বলেই আলোচনার দরজা কিছুটা খুলে রেখেছেন ট্রাম্প। বিবিসি, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Sharif ২৪ মার্চ, ২০১৮, ১১:৪৩ এএম says : 0
    মার্কিনীদের বিরুদ্ধে যথাযথ জবাব দেখার জন্য বিশ্ববাসী তাকিয়ে আছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ