Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অবশিষ্ট ৭৯ হাজার আরাকান ত্যাগ করলেই রোহিঙ্গাশূন্য মিয়ানমার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বর্তমানে আরাকানে আর মাত্র ৭৯ হাজারের মতো রোহিঙ্গা অবশিষ্ট আছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামী আগস্টের মধ্যে মিয়ানমার রোহিঙ্গাশূন্য হবে। বর্মী সামরিক বাহিনীর একটি নতুন রিপোর্ট নিশ্চিত করেছে যে, ২০১৬ সালে আরাকানে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৮ জন রোহিঙ্গা ছিল। আর জাতিসংঘ বলেছে, ৬ লাখ ৮৮ হাজার পালিয়ে এসেছে। প্রয়াত রুশ নেতা ট্রটস্কি অনুসারী সমাজতন্ত্রীদের দ্বারা পরিচালিত ওয়ার্ল্ড সোসালিস্ট ওয়েবসাইটে (ডব্লিউএসডব্লিউএস) প্রকাশিত এক রিপোর্টে ওই তথ্যগুলো বেরিয়ে এসেছে। ডব্লিউএসডব্লিউএস-এর ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী বর্মীরা চাপের মুখে ওই চুক্তি সই করেছে। কিন্তু তাতে তারা জাতিসংঘ বা তার কোনো সংস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করেনি। মিয়ানমার আগামী দুই বছর মেয়াদে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। ২০১২ সাল থেকে গত আগস্টে ক্র্যাকডাউন শুরুর মধ্যবর্তী সময়ে অধিকাংশ রোহিঙ্গা আরাকান ছেড়ে আশ্রয় নেয়। গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সাময়িকী ইরাবতীর এক রিপোর্টে উল্লেখ করে পশ্চিম মিয়ানমারের আরাকান থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে। এর মধ্যে যারা নিহত, নিখোঁজ কিংবা গ্রেফতার হয়েছেন তারা অন্তর্ভুক্ত নেই। ফলে বলা যায়, বর্তমানে আরাকানে অবশিষ্ট থাকা মাত্র ৭৯ হাজারের মতো রোহিঙ্গা আরও বেশি নির্যাতনের শিকার হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে পাঁচ মাসে ৭০ হাজার এলে আগামী ৫ বা ৬ মাসে বাকি ৭৯ হাজার পালিয়ে আসতে পারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামী আগস্টের মধ্যে মিয়ানমার রোহিঙ্গাশূন্য হবে। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার চরম বর্বরতার শিকার রোহিঙ্গারা। হত্যা-ধর্ষণ ও ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ অব্যাহত রেখে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসতে বাধ্য করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া রোহিঙ্গা আবাস বুলডোজারে গুঁড়িয়ে অপরাধের আলামতও নষ্ট করা হয়। গত বছরের ২৫ আগস্ট শুরু করা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ নির্যাতন থেকে বাঁচতে ৬ লাখ ৯২ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে। আরাকানে সেই নৃশংস অভিযান অব্যাহত থাকায় গত নভেম্বরে প্রত্যাবাসন চুক্তি সইয়ের পরেও নতুন করে ৭০ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে। ডব্লিউএসডব্লিউএস।



 

Show all comments
  • N. Nabi ২৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:৪৭ এএম says : 0
    What our foreign ministry doing in diplomacy with China, Russia and India.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ