পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : অস্ত্র বিক্রি করে আন্তর্জাতিক ফোরামে সমর্থন কেনা যায় না। কারণ ইসরাইলি সমরাস্ত্রের সবচেয়ে বড় তিনটি বাজার - ভারত, ভিয়েতনাম এবং আজারবাইজান প্রায় সবসময়ই জাতিসংঘে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে এসেছে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভারত ইসরাইলের সবচেয়ে বড় অস্ত্রের বাজার। ২০১৭ সালে ইসরাইলের কাছ থেকে ৭১৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনেছে ভারত। ২০১৬ সালে তারা কিনেছিল ৭৬৭ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনেছিলো ইসরাইল থেকে। এই চিত্র বলছে, গত এক দশকে ভারতের অস্ত্র কেনার পরিমাণ ৬৫০% বেড়েছে।
রাশিয়ার পর ইসরাইলই ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। রাশিয়া নয়াদিল্লির কাছে ১.৯ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে। তবে এ দুই দেশই ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেকখানি এগিয়ে আছে।
ডাটাবেজ অনুযায়ী, ভিয়েতনাম ইসরাইলি অস্ত্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম খদ্দের। ২০১৭ সালে ১৪২ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনেছে তারা। ভিয়েতনামেও ইসরাইল দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। সেখানেও এক নম্বরে রয়েছে রাশিয়া।
আজারবাইজান ইরান সীমান্তবর্তী মুসলিম দেশ। ইসরাইলি অস্ত্রের তৃতীয় বৃহত্তম ক্রেতা এই দেশটি। ২০১৭ সালে তারা ইসরাইল থেকে ১৩৭ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনেছে। আগের বছরের তুলনায় অবশ্য এটা অনেক কম। ২০১৬ সালে আজারবাইজান ইসরাইলের কাছ থেকে ২৪৮ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনেছিল। ইসরাইল আজারবাইজানের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ।
ভারত জাতিসংঘে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে বিরত ছিল। তবে ভিয়েতনাম ও আজারবাইজান সবসময়ই ইসরাইলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে এসেছে।
এই ইন্সটিটিউট ইসরাইলকে পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। গত বছর তাদের মোট রফতানির পরিমাণ ছিল ১.২৬ বিলিয়ন ডলার। তাদের আগে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানি।
ডাটাবেজ অনুসারে অস্ত্র আমদানির তালিকায় ইসরাইলের অবস্থান ১৮তম। গত বছর ৫২৮ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনেছে তারা। এর ৯৭.৫ শতাংশই কেনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। বাকিটা এসেছে জার্মানি থেকে। গত এক দশকে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইটালি এবং কানাডা থেকে অস্ত্র কিনেছে ইসরাইল।
এসআইপিআরআই’এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ইসরাইল মিয়ানমারের কাছে ১১ মিলিয়ন ডলারের ভোরা টহল বোট বিক্রি করেছে। কিন্তু মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল প্রচেষ্টার অভিযোগ ওঠার পর সমালোচনার মুখে পড়ে ইসরাইল। ২০১৭ সালে মিয়ানমার যা অস্ত্র কিনেছে, তার ৬.৫ শতাংশ এসেছে ইসরাইল থেকে। তাদের অস্ত্রের বড় অংশই আসে চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে। ইসরাইলের চেয়েও মিয়ানমারের কাছে বেশি অস্ত্র বিক্রি করে ইউক্রেন এবং নেদারল্যান্ডস।
২০১১ সালের পরে গত বছরই প্রথম মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছে ইসরাইল। ডাটাবেজে আর যেসব তথ্য উঠে এসেছে, সেগুলো হলো:
(১) টানা দ্বিতীয় বছরের মতো তুরস্কের কাছে কোন অস্ত্র বিক্রি করেনি ইসরাইল। ২০০৯ সালে তুরস্ক ইসরাইলের কাছ থেকে ৩২০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনেছিল। সে বছর ইসরাইলি অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল তুরস্ক। (২) ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ফিলিপাইন ইসরাইলি অস্ত্রের অন্যতম বাজার হিসেবে আবীর্ভূত হয়। ২১ মিলিয়ন ডলারের রাডার এবং ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী সিস্টেম কিনেছে দেশটি। (৩) এশিয়ার দুই দেশ সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে অস্ত্র চুক্তি গত বছর কমে গেছে। এসআইপিআরআই তথ্য বলছে, দক্ষিণ কোরিয়া ২০১৬ সালে ৫২ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনেছিল, ২০১৭ সালে কিছুই কেনেনি তারা। আর সিঙ্গাপুরে ২০১৬ সালের ৪৩ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় ২০১৭ সালে মাত্র ২ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। (৪) ইটালি ইসরাইলি অস্ত্রের চতুর্থ বৃহত্তম এবং ইউরোপের এক নম্বর ক্রেতা। ২০১৭ সালে ইসরাইলি অস্ত্রের পেছনে ৮৭ মিলিয়ন ডলার ব্যায় করেছে তারা। (৫) কানাডার কাছে গত বছর ২৫ মিলিয়ন ডলারের রাডার সিস্টেম বিক্রি করেছে ইসরাইল। ২০০৯ সালের পর এই প্রথম ইসরাইলের কাছ থেকে অস্ত্র কিনলো কানাডা। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।