Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধা

উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভ করায় ঢাবিতে আনন্দ সমাবেশ

ঢাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সম্প্রতি জাতিসংঘ কর্র্তৃক বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উপলক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃক এক আনন্দ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি বাসভবন সংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তনের (ভিসি চত্বর) পাদদেশে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ফেস্টুন ও বেলুন উড়িয়ে এই আনন্দ সমাবেশের উদ্বোধন করেন। এসময় সংগীত বিভাগের উদ্যোগে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ভিসি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বাংলাদেশ রাষ্ট্র বিনির্মাণে যাঁরা ভূমিকা রেখেছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত এই সমাবেশে অংশ নেন বিভিন্ন হল, বিভাগ, ইনিস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া ঘোষণা মোতাবেক সমাবেশের নিড়াপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে গতকাল সমাবেশে সংবাদ সংগ্রহের জন্য আসা সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ ও হেনস্থা করে সমাবেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিএনসিসি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কন্টিনজেন্টের সদস্য ও রোভার স্কাউট সদস্যসহ উপস্থিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এসময় রাস্তার দুপাশেই মানববন্ধন ও জনসমাবেশ থাকায় সংবাদ সংগ্রহের জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের সাংবাদিকসহ অন্যান্য টেলিভিশন মিডিয়ার সাংবাদিকরা স্মৃতি চিরন্তনের সামনে যেতে চাইলে তাদের বাধা দেন বিএনসিসি’র সদস্যরা, এসময় তাদের সাথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও এসে সাংবাদিকদের বাধা প্রদান করেন। কর্তব্যরত বিএনসিসি সদস্যসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তারা কোন প্রকার সহযোগীতা করতে স্বীকৃত হয়না। একই সময়ে মুহসীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে নানা উচ্চবাচ্য করে এক সাংবাদিককে ধাক্কা দেয়। বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিকরা ক্যামেরা নিয়ে মূল অনুষ্ঠানের সামনে যেতে চাইলে সেখানেও বাধা দেয় ছাত্রলীগ ও বিএনসিসি সদস্যরা। বিষয়টি ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে অবহিত করার পরও কোন ধরণের সুরাহ হয়নি। এরপরও সাংবাদিকরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। সংবাদ সংগ্রহ নিয়ে যখন বাকবিন্ডতা চলছিল তখন ভিসির নিরাপত্তার দায়িত্বে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরী করছিল বিএনসিসির প্রায় ৩০-৩৫ জন সদস্য। কয়েকজন শিক্ষক জানান, ইতোপূর্বে বিশ^বিদ্যালয়ের কোন অনুষ্ঠানে ভিসিকে এভাবে বিশেষ নিরাপত্তা দেয়ার কোন নজির নেই। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনাও এবারই প্রথম।
অপরদিকে সমাবেশে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের ভিসির পাশে দাড়ানো নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন শিক্ষক। তারা বলেন যেখানে অনেক সিনিয়র শিক্ষকই ভিসির পাশে দাড়াতে পারেনি সেখানে বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভিসির পাশেই দাঁড়াতে দেয়া হয়েছে। এটি দৃষ্টিকটু। কারণ প্রিন্সের পিছনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষককে দাঁড়াতে হয়েছে। একজন শিক্ষক বলেন, এটি ভিসির অতিমাত্রায় ছাত্রলীগ নির্ভরশীলতার পরিচয় বহন করে।
সার্বিক বিষয়ে জানার জন্য ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংবাদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ