পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু’পাশে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ফুটপাত, খাবার হোটেল, ওষুধের দোকান, পরিবহন টিকিট কাউন্টার ও দলীয় কার্যালয়সহ সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঢাকা জোনের স্টেট এন্ড ল অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্বে থাকা মাহবুবুর রহমান ফারুকীর নেতৃত্বে গত সোমবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলে এই অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান। স্থানীয় প্রভাবশালী মার্কেট মালিক, ক্ষমতাসীন দলের নেতা, চাঁদাবাজ চক্রের কোন কথা আমলে না নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু,পাশের সকল অবৈধ স্থাপনা বেকু দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যান চলাচল আগের তুলনায় অনেক সহজ হয়েছে। ভুক্তভোগিদের মতে, মহাসড়কের মেঘনা- গোমতী সেতুর দু’পাড়ে, দাউদকান্দিসহ কুমিল্লা অংশে একইভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট অনেকটাই কমে যাবে। তাতে যাত্রীদের ভোগান্তিও অনেকাংশে কমবে।
অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভিটিকান্দি সড়ক উপ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহরিয়ার আলম ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী মতিয়ার রহমান। এই উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে উপস্থিত হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। অভিযানের নেতৃত্বদানকারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ ঢাকা জোনের ষ্টেট এন্ড ল‘ অফিসার মাহবুবুর রহমান ফারুকী জানান, শিমরাইল মোড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু,পাশে যেসব ফুটপাত, মার্কেটের সামনে সরকারি জায়গা দখল করে কাঁচা পাকা দোকান পাট, খাবার হোটেল, ফার্মেসী, পরিবহন টিকিট কাউন্টার গড়ে তোলা হয়েছে তা অবৈধ। দখলকারিরা এসব দোকানপাট গড়ে তুলে যান ও জনচলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করছিল। তাই অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে গড়ে তোলা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এই উচ্ছেদ অভিযানের ফলে শিমরাইল মোড়ের পরিবেশ সন্দুর ও ফুটপাত বাণিজ্যমুক্ত হলেও তা বহাল থাকবে কিনা এই সন্দেহ পোষন করছেন স্থানীয়রা। কারণ এর আগে যতবার উচ্ছেদ করা হয়েছে ততোবারই আবার দোকানপাট গড়ে উঠেছে। আর যাতে এসব দোকানপাট গড়ে উঠতে না পারে সেই নজরদারী রাখার জন্য সওজ কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন মহল।
ভুক্তভোগিদের মতে, ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন মহাসড়কের যতোটুকু জায়গা আছে তা যদি দখলমুক্ত রাখা যেতো তাহলে নির্বিঘেœ গাড়ি চলাচল করতে পারতো। এতে ভয়াবহ যানজট থাকতো না। চারলেন চালু হওয়ার পর মহাসড়কের দু’পাশে অনেক জায়গা দখল হয়ে গেছে। চার লেনের উপরেই গড়ে তোলা হয়েছে কাঁচা-পাকা দোকান ও ঘর। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেঘনা ও গোমতী সেতুর দুই পাড়ে যানজটের কবলে পড়ে গাড়িগুলো যেখানে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে সেসব স্থানে মহাসড়কের দুপাশেই গড়ে উঠেছে স্থায়ী দোকান। যানজটে গাড়ি আটকা পড়ে যাত্রীদের যখন নাভিশ্বাস অবস্থা তখন ওই সব দোকানীদের পোয়াবারো অবস্থা হয়। যাত্রীরা ওই সব দোকান থেকে খাবার কিনে খায়। এতে করে নিমিষেই সারাদিনের বেচাবিক্রি শেষ করতে পারে দোকানীরা। স্থানীয় সূত্র জানায়, মহাসড়কের উপরে দোকান বা ঘর তোলার নেপথ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রভাবশালী সরকার দলীয় নেতারা জড়িত। তারাই পুলিশকে মাসোহারার বিনিময়ে ম্যানেজ করে দোকানগুলো উঠাতে সাহায্য করেছে। জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জের এক ব্যবসায়ী বলেন, মহাসড়ক অবৈধ দখলদারমুক্ত রাখার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের ইচ্ছাই যথেষ্ঠ। গত কয়েক দিনের অভিযানে তাই প্রমাণিত হয়েছে। ভুক্তভোগিদের দাবি, শুধু সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল নয়, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পুরো মহাসড়কের দুপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা গেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট অনেকাংশে কমে যাবে। তাতে যাত্রার সময় কমে মানুষের ভোগান্তি এবং দুর্ঘটনার হারও কমবে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।