Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ময়মনসিংহের রিয়াজ উদ্দিন ফকিরের রায় যেকোনো দিন

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার রিয়াজ উদ্দিন ফকিরের বিরুদ্ধে রায় যেকোনো। রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের শুনানি শেষে গতকাল বুধবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য অপেক্ষামাণ (সিএভি) রেখেছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর ঋষিকেষ সাহা এবং আসামি পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। মামলার অন্যতম আসামি রিয়াজ উদ্দিন ফকির কারাগারে আছেন। এ মামলায় তিন আসামির মধ্যে অন্য দু’জন ফুলবাড়িয়ার আলবদর বাহিনীর প্রধান আমজাদ আলী ও রাজাকার ওয়াজ উদ্দিন পলাতক অবস্থায় মারা গেছেন। এ জন্য তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
রিয়াজের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও ধর্ষণের পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২২ আগস্ট থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ফুলবাড়িয়া উপজেলার বেবিট্যাক্সি স্ট্যান্ড, রাঙ্গামাটিয়া ঈদগাহ সংলগ্ন বানা নদী, দিব্যানন্দ ফাজিল মাদরাসা, ফুলবাড়িয়া ঋষিপাড়া, আছিম বাজার ও ভালুকজান গ্রামে তিনি অপরাধগুলো সংঘটিত করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর রিয়াজ ও ওয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। এর আগে ওই বছরের তিন আসামির বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওইদিনই প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করেন তদন্ত সংস্থা। ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর দাখিল করেন প্রসিকিউশন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ১ বছর ৪ মাস ৭ দিনে তদন্তকাজ সম্পন্ন করেন।
হবিগঞ্জের তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত:
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের লাখাই এর শফি উদ্দিন মাওলানা, তাজুল ইসলাম ওরফে ফোকন এবং জাহিদ মিয়া নামে তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে প্রতিবেদনে। বুধবার ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এ সময় তদন্ত সংস্থার কর্মকতা আব্দুল হান্নান খান ও সানাউল হক উপস্থিত ছিলেন। আসামিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, আটক, নির্যাতন, অপহরণের অভিযোগ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় হবিগঞ্জের লাখাইয়ের বিভিন্ন স্থানে আসামিরা এসব অপরাধ সংগঠন করেন বলে উল্লেখ করা হয়েছ তদন্ত প্রতিবেদনে। আসামিদের মধ্যে শফি উদ্দিন মাওলানা ছাড়া বাকি দুজন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের কাছে দাখিলের কথা জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রায়

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ