বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের সঙ্গে সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলামের অনুসারীরা এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পার্শ্ববর্তী সাতকরা রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী এসএম আব্দুল্লাহ রনি বর্তমানে সিলেটের ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পার্শ্ববর্তী সাতকরা রেস্টেুরেন্টে সাঈদ-সবুজ গ্রুপের অনুসারী ও তরিকুল গ্রুপের অনুসারীরদের মধ্যে বাক-বিতান্ড হয়। বাক-বিতান্ডের এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । এসময় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলামের গুলিতে এক শিক্ষার্থী আহত হয় বলে দাবি করেন সাঈদ-সবুজ গ্রুপের কর্মীরা। এদিকে শাহপরান হলে সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম নিয়ন্ত্রিত রুমগুলোতে ভাংচুর চালিয়ে তারা দখল করে নেয়।
সাঈদ-সবুজ গ্রুপের অনুসারী সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েম বলেন, তারিকুল দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা করে আসছে। সে ছাত্রদল কর্মীদের আশ্রয়দাতা। আমরা তাকে বিষয়গুলো বলতে গেলে সে আমাদের ওপর গুলি ছোড়ে। আমরাও প্রতিরোধ করি। তার গুলিতে রনি নামক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
তবে গুলি ছোঁড়া বিষয়টি অস্বীকার করে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, সাতকরা রেস্টেুরেন্টে একটি আঞ্চলিক সংগঠনের মিটিং চলাকালে সাঈদ-সবুজের ৩০-৪০জন কর্মী আমার উপর অর্তকিতভাবে হামলা করে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে রনি নামের এক ছাত্র আহত হয়েছেন। সাঈদ-সবুজ গ্রুপের কর্মীদের গুলিতে রনি আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তরিকুল।
জালালাবাদ থানার ওসি শাফিকুল ইসলাম বলেন, “কে বা কারা গুলি করেছে সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোড়ার খবর পেয়েছি। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর জহীর উদ্দিন আহমদে বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে এসে জানতে পেরেছি, প্রধান ফটকের সামনে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছিল।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।