Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ প্রকল্প

জংশন স্টেশনের কারণে বাড়বে বগুড়ার গুরুত্ব

| প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু, বগুড়া ব্যুরো : অবশেষে ‘বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ প্রকল্পটি’ সব ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক উপেক্ষার খড়গ পেরিয়ে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে বলেই খবর পাওয়া গেছে। দ্রুতই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁ, পঞ্চগড়ও নওগাঁ জেলার মানুষ প্রভুতভাবে উপকৃত হবেন। এই জেলাগুলো থেকে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য জায়গায় যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের ব্যয় ও সময় অনেক কম হবে। এছাড়া উত্তরাঞ্চল থেকে সড়ক পথে ঢাকায় যাতায়াতের ব্যয়ও রেলের সাথে প্রতিযোগিতার কারণে কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার বগুড়া, লালমনিরহাট রেলের বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একনেক ( জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ ) সভায় প্রকল্পটির চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সংসদ অধিবেশনে বগুড়া -১ সংসদীয় আসনের এমপি আব্দুল মান্নানের এক প্রশ্নের জবাবে রেল মন্ত্রী মুজিবুল হক ও তাঁর জবাবে বলে দিয়েছেন যে, ‘ভারতীয় ঋনের টাকায়’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গতকাল বগুড়া ও লালমনিরহাট রেলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন আগে থেকেই বগুড়া হয়ে সিরাজগঞ্জের মনসুর আলী ষ্টেশন পর্যন্ত ৭০ কি.মি.মিটার গেজ রেল পথ নির্মাণের সব জরিপ সম্পন্ন করা আছে। তবে এই প্রকল্পটির নির্মান বাবদ ভারতীয় ঋণ ও জাইকার ৫০১.২৩ মিলিয়ন ডলার ( বাংলাদেশী টাকায় ) ৫ হাজার ৭শ কোটি টাকার সংস্থান হওয়ায় খুব দ্রæতই প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে। বগুড়ার সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার বেনজুরুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বগুড়ায় বোনারপাড়ার অনুরুপ ্একটি জংশন হবে। এখানে একটি রেলওয়ে হাসপাতাল, একটি বিরাটাকারের ডিজেল শেড (লোকোশেড), একটি মেরামতি ইউনিট ও রেলওয়ে কর্মকর্মচারিদের জন্য আবাসিক কম্পাউন্ড নির্মিত হবে।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান স্টেশনটিই জংশনে রুপান্তর হবে নাকি এটি অক্ষুন্ন রেখে একটু পশ্চিমে ফাঁপোর এলাকায় রেলজংশন হবে সে বিষয়ে চলছে জরিপ কার্যক্রম। পুরো জংশন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য যে বিপুল পরিমাণে জমির প্রয়োজন হবে সেজন্য অচিরেই অবৈধ দখল উচ্ছেদের পাশাপাশি রেলের জমিতে বৈধভাবে নির্মিত বা নির্মিয়মান মার্কেটগুলো উচ্ছেদ হয়ে যেতে পারে। এতে কয়েক হাজার খুদে দোকানদারসহ বড় ও মাঝারী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানও উচ্ছেদের ঝুঁকিতে পড়বে। তবে এতবড় ও দীর্ঘস্থায়ী সুফলের কাছে কিছু মানুষের সাময়িক ক্ষতি তেমন কোন বিষয় নয় বলেও সূত্রটি বলেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেল

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ