পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভা আজ (বুধবার)। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ এবং জনসভা সফল করতে প্রস্তুত বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম। নির্বাচনী বছরে দেশের আন্দোলন সংগ্রামের ঐতিহ্যের নগরী বীর চট্টলায় প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
সরকারি দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দারুণ উজ্জীবিত। জনসভাকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে শুরু করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা সদরে পটিয়া আদর্শ বিদ্যালয় মাঠে জনসভা স্থলকে সাজানো হয়েছে বর্ণাঢ্য সাজে। প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে দুই দফায় টানা নয় বছর ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে জনসভায় তিনি কী বলেন তা শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন চট্টগ্রামবাসী। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, পটিয়ার জনসভা হবে ঐতিহাসিক এবং সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের গণমানুষের জন্য সুখবর দেবেন। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আয়োজিত এ জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বিগত নয় বছরে সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরবেন। এর পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রামকে ঘিরে তার আগামী দিনের পরিকল্পনার কথা জানাবেন। আর স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের বছর হওয়ায় জনসভায় তিনি সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকায় ভোট চাইবেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হেলিকপ্টারযোগে আজ সকালে একদিনের সফরে চট্টগ্রাম আসছেন প্রধানমন্ত্রী। সকালে তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঈশা খাঁন ঘাঁটিতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। মধ্যাহ্ন ভোজ ও জোহরের নামাজ শেষে হেলিকপ্টারযোগে তিনি পটিয়ায় যাবেন। জনসভায় ভাষণ দেয়ার আগে বেলা ২টায় পটিয়ায় জনসভা স্থল থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ১৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২৮টি নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। জনসভায় ভাষণ দেয়ার পর পটিয়া থেকেই ঢাকায় ফিরে যাবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
জনসভা সফল করতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম জুড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গতকাল জনসভার সমর্থনে মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড ও পাড়া মহল্লায় মিছিল সমাবেশ হয়। আওয়ামী লীগ নেতারা মিছিলে অংশ নিয়ে জনসভা সফল করার আহŸান জানান। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে এ অঞ্চলের মন্ত্রী এমপি থেকে শুরু করে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ব্যাপক শোডাউন করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত বর্ণিল ব্যানার, পোস্টার আর বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে পুরো চট্টগ্রাম। জনসভাতেও চূড়ান্ত শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সরকারি দলের নেতারা। তবে এ শোডাউন নিয়ে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। জনসভাকে ঘিরে আগেই নেয়া হয়েছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জনসভায় আসা-যাওয়ার পথে সড়কগুলোতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
১০ লাখ টাকায় মঞ্চ
পটিয়া সংবাদদাতা জানান, জনসভার জন্য ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে মঞ্চ। নৌকা প্রতীকের আকৃতিতে নির্মিত ১শ’ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থের এ মঞ্চ দেশের বৃহত্তম জনসভার মঞ্চ বলে মনে করছেন অনেকে। হেলিকপ্টারযোগে প্রধানমন্ত্রী জনসভায় আসবেন। পটিয়ার খরনা বিলে তৈরি করা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি হেলিপ্যাড। পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল এলাকাজুড়ে তৈরি দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ এখন প্রস্তুত। এ মাঠে ভারতবর্ষের অবিসংবাদিত নেতা জহর লাল নেহেরু, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ জনসভায় ভাষণ দিয়েছেন। ১৯৯৬ সালে বিরোধী দলীয় নেতা থাকাকালে শেখ হাসিনা নির্বাচনী প্রচারণায় এ মাঠে জনসভায় ভাষণ দেন। ২১ বছর পর আজ এ মাঠে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ভাষণ দেবেন তিনি। পটিয়ার এ জনসভাকে ঘিরে পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে এখন সাজ সাজ রব। এ জনসভায় প্রায় ৩ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখার সময় জনসভা স্থলে সার্বিক দেখভাল করছিলেন আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ নেতারা। এছাড়া চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন ও পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।