Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সংঘটিত বিষয়গুলোর কঠোর প্রতিবাদের আহ্বান

মিয়ানমারের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মনোভাবে অসন্তুষ্ট অ্যামনেস্টি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মনোভাবে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করলেও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের বিরুদ্ধে শিথিল অবস্থান নেয়ার সমালোচনা করেছে সংস্থাটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে। চলমান রোহিঙ্গা সংকটে মিয়ানমার ও বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটি যত দ্রুত সম্ভব বিতাড়িত রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর নাগরিকদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে তাগাদা দিয়ে যাচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পরিচালক ক্লাইরি মালিনসন বলেন, অস্ট্রেলিয়া সরকারকে আরও নেতৃত্ব দেখানো উচিত। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স ও কানাডার মতো সামরিক সম্পর্ক ও তহবিল বরাদ্দ করার মতো উদ্যোগ নেওয়া উচিত দেশটির। গার্ডিয়ান অস্ট্রেলিয়াকে মালিনসন বলেন, জাতিগত নিধনের সব প্রমাণ থাকার পরও আমরা এখনও মিয়ানমার সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করে যাচ্ছি। তার চেয়ে বরং এই বর্ণবাদী শাসন বন্ধ করতে এই সহায়তা ও সম্পদ ব্যবহার করা অনেক ভাল। সু চি’র সঙ্গে টার্নবুলের সাক্ষাতের বিষয়ে তিনি বলেন, জাতিসংঘকে পুরো ঘটনা তদন্ত করতে না দেওয়া পর্যন্ত কোনও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা খুব কঠিন হবে। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়াকে সংঘটিত বিষয়গুলোর বিষয়ে আরও কঠোর প্রতিবাদ জানাতে হবে। তাদের প্রতি এই নরম নরম দৃষ্টিভঙ্গি কোনও কাজেই আসছে না। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানুয়ারি মাসের কিছু স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করে তাদের গ্রামে ঘাঁটি নির্মাণ করছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী। মালিনসন বলেন, তারা বুলডোজার দিয়ে (রোহিঙ্গাদের) বাড়ি-ঘর ও মসজিদ গুড়িয়ে দিচ্ছে। সেখানে তারা সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করছে। তাই সেখানে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। মালিনসন বলেন, এটা খুবই হতাশাজনক যে, সু চি লোয়ে ইনস্টিটিউটে তার প্রকাশ ভাষণ বাতিল করেছেন। সেখানে তাকে ‘বর্ণবাদী শাসনের অবসান’ ও সামরিক বাহিনীর কর্মকান্ডের নিন্দা করানোর সুযোগ পাওয়া যেত। গত রবিবার রোহিঙ্গা ইস্যুতে আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির গোপন আলোচনা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রীর সূত্রে ‘দীর্ঘ’ বৈঠকে ‘বিস্তৃত’ আলোচনার খবর দেয়। বৈঠকে সংকট উত্তরণে সু চি আসিয়ান নেতাদের সহায়তা চেয়েছেন। শেষ দিনের সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল ওই আলোচনাকে গঠনমূলক দাবি করে বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আজ একটি দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছি। গার্ডিয়ান, বিবিসি, রয়টার্স, এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমারে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ