পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : ইয়েমেনে সউদী নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট প্রমাণ করতে যাচ্ছে যে হুতি বিদ্রোহীদের ইরানই অস্ত্র সরবরাহ করছে। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করে তারা। জোটের মুখপাত্র তুরকি আল মালকি বলেন, নতুন আলামতগুলো প্রমাণ করবে যে হুতি বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করছে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদভিত্তিক ব্রিটিশ ওয়েবসাইট মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের যুদ্ধ বন্ধে সউদী আরব ও হুতি বিদ্রোহীরা গোপনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আল মালিকি দাবি করেছেন, হুতিদের বিস্ফোরকবাহী নৌকার কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনবছর আগে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। সউদী রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ হুতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে সউদী আরব ও তার মিত্র দেশগুলো। এরপর সউদী রাজধানী রিয়াদকে লক্ষ্য করে একাধিক মিসাইল নিক্ষেপ করে হুতিরা। সউদীর অভিযোগ ওই মিসাইলগুলো সরবরাহ করেছিলো ইরান। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালেও ইরানি কুইয়াম মিসাইলের আলামত পেয়েছিলেন। এর আগে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে এই আলামত পরীক্ষার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৪ সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া এই প্রমাণকে ভুল উল্লেখ করে জানায়, তারা মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন দেবে না কারণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। এদিকে লাখ লাখ মানুষের ক্ষুধা ও মৃত্যুর কারণ ইয়েমেনের যুদ্ধ বন্ধে ও হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে গোপনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে সউদী আরব। মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।